৩০ মে, ২০২৫
ছবি: কোরবানির পশুর হাট
আহসান হাবিব রুবেল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি,
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট রামনাথ। সপ্তাহে দুইদিন শুক্রবার ও সোমবার এখানে হাট বসে। এক সময় এ হাটে ৩শতগরু বিক্রি হলেও এখন সেখানে ২শত গরু বিক্রি হয়। গরু পালনের খরচের সঙ্গে গরুর দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা।তবে আগের মতো বর্তমান বাজারে গরু কেনাবেচা হয় না, বলছেন হাট ইজারাদার।
শুক্রবার (৩০মে) সকাল থেকে থেমে থেমে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে রুহিয়াতে । বইছে দমকা বাতাস। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও এদিন রুহিয়া রামনাথ হাট ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে গরু। দুপুর তিনটা পর্যন্ত ছোট-বড়-মাঝারি আকারের গরু, কয়েক বছর লালন পালনের পর বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। এদিন সরবরাহ বেশি থাকায় মূল হাটের আশেপাশেও গরু বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ক্রেতারা।রামনাথ গরুর হাটে দেখা যায়, কেউ হেঁটে, কেউ বা গাড়িতে করে এই হাটে গরু নিয়ে আসছেন।
শফিকুল ইসলাম জানান , আগের তুলনায় বর্তমান বাজারে গরুর দাম বেশি। আগে ৮০ কেজি ওজনের গরু ৫০-৫৫ হাজার টাকায় কিনতাম, কিন্তু সেই গরু এখন ৬০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। খামারিদের অভিযোগ, গোখাদ্যের দাম অনুযায়ী বর্তমানে গরু পালন করে আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন না তারা।স্থানীয় খামারিরা মকবুল ও সিদ্দিক বলেন, একটা গরু বড় করতে ৮-১০ মাস লেগে যায়। খাবার, ওষুধ, পরিচর্যা- সব মিলিয়ে অনেক খরচ হয়। এখন হাটে এসে দেখি, যে দামে বিক্রি হচ্ছে তাতে খরচই ওঠে না। এভাবে দাম কমে গেলে ভবিষ্যতে তারা আর গরু পালন করবেন না। এতে দেশীয় পশুর সরবরাহে সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার প্রচুর সংখ্যক খামারি আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন গরু পালনের, কিন্তু ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস, মধ্যবিত্তদের বাজেট কমে যাওয়া এবং পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো থেকেও ক্রয় বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় হাটগুলোতে তেমন ক্রেতা নেই বলেও জানান অনেকেই।
রামনাথ হাট ইজারাদার জানান,আগের তুলনায় এই হাটে এখন ১০ ভাগ হাট সেভাবে জমে না। আগে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও সোমবার দিনে দেশি বিদেশি মিলে প্রায় ৩-৪শত গরু ক্রয় বিক্রয় হতো, এখন কোনো দিন ১শত থেকে ২শত গরুও ক্রয়-বিক্রয় হয় না। বাজারের অবস্থা ভালো না। মানুষের হাতে টাকা পয়সা কম, তাই বেচাকেনাও কমে গেছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৭৫ হাজার। সে জায়গায় পশু লালনপালন করে প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৯১ হাজার। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ১৬ হাজার পশু বেশি রয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার খামার রয়েছে ৬ হাজার ৪টি। আর কোরবানির জন্য এক লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।
Good news
Good