১৯ মার্চ, ২০২৩
ছবি: ঝুকিপূর্ণ ভবনে
ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়ায় ১নং রুহিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ঝুকিপূর্ণ টিনসেড ভবনে ক্লাস নেয়ায় অভিভাবকসহ সচেতন মহল রয়েছে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় । বিদ্যালয়টি ১৯৩৩খ্রি. প্রতিষ্ঠার পর পরই ওই ভবনটি নির্মিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫৪২জন ও শিক্ষকের সংখ্যা ৮জন। শিক্ষার্থী অনুয়ায়ী ক্লাস রুম ১২টি থাকার কথা থাকলেও বিদ্যালয়টিতে রয়েছে ৬টি ক্লাস রুম এবং শিক্ষার্থী অনুপাতে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সহ ১৩জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৮জন।
এমতাবস্থায় আরও ৬টি ক্লাস রুমসহ ৫জন শিক্ষকের প্রয়োজন। আর পুরাতন টিনসেড ভবনটিতে মোট রুম রয়েছে ৮টি। এখানে অফিস রুম হিসেবে ব্যবহার হয় ৩টি কক্ষ, ক্লাস রুম হিসেবে ব্যবহার হয় ২টি কক্ষ, একটি কক্ষে রয়েছে টিউবয়েল আর ২টি কক্ষ পরিত্যাক্ত ।
ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক মোহাম্মদ আলী, বাবলু ও বইদুল বলেন, আমাদের কোমল মতি শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। যদি কখনো পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে শিশুদের উপরে পড়ে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি অতীব ঝুকিপূর্ণ। শিশুদের ক্লাস নেয়ার মত নতুন ভবনে যথেষ্ঠ রুম না থাকায় বাধ্য হয়ে আমাদেরকে পুরাতন ঝুকিপূর্ণ ভবনটিতে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় যত তারাতাড়ি হোক বিদ্যালয়ে নতুন একটি ভবনের প্রয়োজন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও রুহিয়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মজিবর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা মনে করে আরও একটি ভবনের জন্য সংসদ সদস্যকে জানিয়েছি।
জেলার সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্ব প্রাপ্ত মোকাদ্দেস বিন ইবনে সালাম বলেন, যেহেতু ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়নি সেহেতু আমি কোন মন্তব্য করবো না।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুনা লায়লা বলেন, প্রথমে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এলজিইডি বরাবরে আবেদন করবে তারপর এলজিইডি কর্তৃক ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলে তখন আমরা উক্ত ভবনটি ব্যবহারে নিষিদ্ধ করে দিব এবং নতুন ভবনের চাহিদা প্রেরণ করা হবে।
সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) তানজিম তাসনিম বলেন, আপনি আমাকে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা দিয়ে বিস্তারিত জানান, আমি ২৬ মার্চ এর পরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
Good news
Good