১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: প্রতীকী।
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাকিবুল (১১) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। আজ রোববার বিকালে স্থানীয় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের গান্ধিনা জান্নাতুল ফেরদৌস মাদ্রাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাকিবুল ওই মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের ছাত্র। উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের টেংগুরিয়া গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে।
রাকিবুলের মা রিমি জানান, ২০-২২ দিন আগে রাকিবুলকে গান্ধিনা জান্নাতুল ফেরদৌস মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার পর থেকে হুজুরদের মারধরের কারণে চারবার একা একাই বাড়িতে চলে এসেছে। মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। ও চলে আসলেও আমরা ওকে মাদ্রাসায় রেখে আসছি। সর্বশেষ গতশুক্রবার চলে আসলে বুঝিয়ে পরদিন শনিবার সকালে রাকিবুল ও ছোট ছেলে ইব্রাহিমকে মাদ্রাসায় রেখে আসি। বিকালেই মাদ্রাসার হুজুর রাকিবুলের বাবাকে ফোন দিয়ে জরুরি কথা আছে বলে মাদ্রাসায় যেতে বলে। আমিও তাঁর সাথে যাই। বিভিন্ন ধরনের কথা বলার পর হুজুর বলেন ছেলে ফাঁসি দিয়ে মারা গেছে। মাদ্রাসার একটি ঘরে গিয়ে দেখি রাকিবুল ঝুলে আছে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে লাশ থানায় নিয়ে যায়।
ছোট ছেলে ইব্রাহিমের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, দুপুরে হুজুর রাকিবুলকে ভাত খেতে বলার পর ভাত না খাওয়ায় হুজুর রাকিবুলকে মারধর করে। আসরের নামাজের সময় আমার দুই ছেলেকে ঘরে রেখে তালা দিয়ে হুজুর নামাজে গিয়েছিল। আমরা এঘটনার সুষ্ঠু, সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলামিন এ বিষয়ে জানান, খবর পেয়ে মাদ্রাসা থেকে রাকিবুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। কালিহাতী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মাদ্রাসার তিনজন শিক্ষককে (হুজুর) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য মাদ্রাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। কওমি মাদ্রাসা ও আলেম-ওলামাদের সাথে যোগাযোগ করেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কিংবা শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Good news
Good