১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ছবি: স্ত্রীকে ফাঁসাতে ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ।
স্ত্রীকে ফাঁসাতে ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ।
সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের বাগবাড়ি মহল্লার মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে দিলোয়ার মাহমুদ জুয়েল বক্সের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী শাহানা জাহান পলির সংবাদ সম্মেলন।সোমবার সকালে শহরের ছাতক প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় সাংবাদিক দের সামনে একটি লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন শাহানা জাহান পলি।অভিযোগে বলেন আমার স্বামী দিলোয়ার মাহমুদ জুয়েল বক্সের অপকর্ম ও নির্যাতনের ফলে তার সাথে সংসার করতে না পেরে আমি ইতি মধ্যে তাকে তালাক দিয়েছি। আমার দায়েরী নারী নির্যাতন মামলায় সে কারা ভোগ করেছে। সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে আমার ওপর প্রতিশোধ নিতে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে সাজানো মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমার তালাক প্রাপ্ত স্বামী দিলোয়ার মাহমুদ জুয়েল বক্সের সাথে পারিবারিক সম্মতিতে ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী রেজিষ্ট্রি কাবিন নামার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।বিবাহিত জীবনে ফাহমিদ বক্স (১৬),তাহসিন বক্স( ১৩) ও ফাইরোজ বক্স( ৭)সহ ৩ সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী আমাকে শারিরীক নির্যাতন করে যৌতুক দাবি করে। আমার ও আমার সন্তনদের কথা চিন্তা করে আমার পিত্রালয় থেকে সাদ্যমত সহযোগিতা করে। সে পরক্রিয়া সহ মদ - গাজা সেবনে আসক্ত হওয়ায় মহল্লা থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি সে ব্যবসা বানিজ্যের জন্য আমার কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমার ওপর শারিরীক নির্যাতন করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর ঘর থেকে বের করে দেয়।পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে সন্তান দের তার কাছে রেখে আমি আমার পিত্রালয়ে আশ্রয় গ্রহন করি। বিষয়টি মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তাকে তালাক প্রদান করি।গত বছরের ১০ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করলে সে ২৩ দিন কারা ভোগ করে জামিনে বের হয়ে আমাকে সাজানো মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।সিলেটের বিমানবন্দর থানার মাধ্যমে আমি জান্তে পেরেছি যে আমার ছেলে তাহসিন বক্স ( ১৩)অপহরণ হয়েছে। ফলে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে আসামি করে জুয়েল বক্স বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। সে আমার ছেলেকে খোঁজা খোজি না করে লুকিয়ে রেখে আমাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।আমি ও আমার সন্তানদের প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করছি।
Good news
Good