০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য জনাব, এম এ মতিন।
অতীতে বিএনপির সমর্থনে বিজয়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খোঁজা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে তালিকা। বিভিন্ন সময়ে রাগে, ক্ষোভে আর অভিমানে দূরে থাকা নেতাকর্মী কিংবা সমর্থকদেরও একই প্ল্যাটফর্মে আনার উদ্যোগ নিয়েছে দলটি।
এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর। আন্দোলন ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁদের দলে সক্রিয় এবং সম্পৃক্ত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু। এসব টিম সারাদেশ সফর করে ইতোমধ্যে তালিকার কাজ প্রায় শেষ করেছে, বলে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দলটির সমর্থনে জনপ্রতিনিধি হওয়া অনেকেই বিভিন্ন কারণে দূরে রয়েছেন। অনেকে পদ-পদবি থেকে বঞ্চিত হয়েছে, অনেকে মামলা-হামলার ভয়ে চুপ করে আছেন। আবার অনেকে মূল্যায়নের অভাবে রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছেন। এর বাইরে ২০০৯ সাল থেকেও অনেকে বিএনপির সমর্থনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে এক ছাতার নিচে আনার জন্য কাজ করছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ সাংগঠনিক কার্যক্রম তাঁরা পরিচালনা করছেন।
সংশ্নিষ্টরা জানান, আন্দোলন ছাড়া
অন্য হিসেবও রয়েছে বিএনপির। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার নানাবিধ ষড়যন্ত্র করতে পারে। বিএনপি সমর্থিত এসব জনপ্রতিনিধির অনেককে প্রলোভনে ফেলে কিংবা তাঁদের রাগ-ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে নেওয়ার চেষ্টা করবে। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বগুড়া উপনির্বাচনে এ প্রবণতা দেখা গেছে। বিএনপি সমর্থিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানদের অনেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এটাকে আগামী নির্বাচনের 'অ্যালার্মিং' হিসেবে নিয়ে তাঁদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সাবেক জনপ্রতিনিধিদের 'ইমেজ'কে কাজে লাগিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিতে চায় বিএনপি।
যাঁদের নেতৃত্বে টিম: ঢাকা বিভাগে সাবেক ছাত্রনেতা ওমর ফারুক শাফীন, আকরামুল হাসান মিন্টু ও ওবায়দুল হক নাসির। চট্টগ্রামে বেলাল আহমেদ, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, মামুন অর রশীদ ও মশিউর রহমান বিপ্লব। কুমিল্লায় শেখ শামীম ও আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী। সিলেটে কাজী রফিক ও ইকবাল হোসেন শ্যামল। ময়মনসিংহে শামসুজ্জামান সুরুজ ও আব্দুল বারী ড্যানী। রাজশাহীতে এম এ মতিন, ফজলুর রহমান খোকন ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। খুলনায় আমিরুজ্জামান খান শিমুল, খান রবিউল ইসলাম রবি, মীর রবিউল আলম লাভলু ও আবু সাঈদ। বরিশালে হায়দার আলী লেলিন, হাসান মামুন ও রফিকুল ইসলাম। রংপুরে আশফাকুল ইসলাম সরকার মুনু এবং ফরিদপুরে আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন।