১৬ মার্চ, ২০২৫
ছবি: শহীদ মিনারের পিলারে রড ছাড়াই দেয়াল নির্মান ঝুঁকির আশংকা রয়েছে।
শহীদ মিনারের পিলারে রড ছাড়াই দেয়াল নির্মান।ঝুঁকির আশংকা রয়েছে।
সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পিলারে কোন ধরনের রড ছাড়াই দেয়াল নির্মানে সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ৭-৮ ফুট উচ্চতার এ দেয়ালে কোন ধরনের রড ব্যবহার না করায় স্থানীয়রা ধ্বসে পড়ার আশংকায় ঝুঁকিতে রয়েছেন। দেয়াল নির্মানের বিষয়ে পৌরসভার উপ- সহকারী প্রকৌশলী দ্বিজেন কুমার দাসের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।পৌরসভার সকল ধরনের টেন্ডার কাজে তার রয়েছে একক আধিপত্য। স্থানীয় ঠিকাদার দের অভিযোগ অনেক সময় বিনা টেন্ডারে তিনি নিজেই করে নিচ্ছেন পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ। এতে সরকারি রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি ঠিকাদাররা হচ্ছেন বেঞ্চিত।পতিত শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে অপসারিত সাবেক পৌর মেয়রের সাথে বেশ সখ্যতা ছিলো উপ সহকারী প্রকৌশলীর সে সময় থেকে পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় পৌরসভার সকল কাজে আধিপত্য বিস্তার করে দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
তার ছল- চাতুরী ও অনিয়ম- দুর্নীতির ফলে পৌরসভার অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত
ছিলেন। এব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ পৌর সভার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জ্যোতি এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স মান টেডার্সের পক্ষ থেকে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ছাতক পৌর প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপরোক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দু'টি নিয়মিত সরকারি কর পরিশোধে করে তাদের লাইসেন্স নবায়ন করে যাচ্ছেন। কিন্তু দ্বিজেন্দ্র কুমার দাসের গোপন ছল-চাতুরীর ফলে আজোবধি কোন টেন্ডারে তারা অংশ নিতে পারেননি। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে আড়ালে রেখে দ্বিজেন্দ্র কুমার দাস বিনা টেন্ডারে কাজ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন পৌরসভার লক্ষ-লক্ষ টাকা।সম্প্রতি পৌরসভা কর্তৃক ছাতক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দেয়াল নির্মাণ কাজে কোন টেন্ডার না করেই কাজ করে যাচ্ছেন এই উপ- সহকারী প্রকৌশলী দ্বিজেন্দ্র কুমার দাস।অভিযোগে বলা হয়েছে কাজের টেন্ডার যদি হয়ে থাকে তা গোপনেই হয়েছে। কাজটি করা হচ্ছে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে ইটের পিলার ও গাথুনির মাধ্যমে দেয়াল নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ । যা যেকোন মুহুর্তে দেয়াল ধ্বসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারন হতে পারে। অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে শহীদ মিনার সংস্কারের কাজে। শহীদ মিনারে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিপুল পরিমাণ লোক সমাগম ঘটে থাকে যার ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেয়ালটি যেকোন সময় ধ্বংসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এছাড়া বিনা টেন্ডারে পৌর সভার বিভিন্ন স্থানে মাটি ভরাটের কাজও করে যাচ্ছেন পৌর সভার উপ- সহকারী প্রকৌশলী সহ একটি চক্র। এ সব কাজে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অভিযোগে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরের তদন্ত পুর্বক এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়। অভিযুক্ত
ছাতক পৌর সভার উপ- সহকারী প্রকৌশলী দ্বিজেন্দ্র কুমার দাস জানান এখানে কোন দুর্নীতি হয়নি। আগে ব্রীক পিলার ছিল তাই আমরা সে অনুযায়ী কাজ করেছি। পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান ইস্টিমেটে যা আছে সে ভাবেই বিল করা হয়েছে। এর পরও বিষয়টি দেখবো।
Good news
Good