১৯ মার্চ, ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার সিংহভাগ লোক কৃষক শ্রমিক নিম্ন আয়ের লোক বসবাস করে এছাড়াও রয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়সহ বেদে ও মৃতশিল্পি পরিবার। এই সমস্ত পরিবারে আয় অত্যান্ত সীমিত। তাই এই সমস্ত পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় বছর জুরেই হিসাব করে চলতে হয়।
বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য যে ভাবে দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। এমন অবস্থায় সীমিত আয়ের লোকেরা এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকেরা হতাশায় পরেছে। সম্প্রতি দব্য মূল্য বৃদ্ধির পর এখন আসন্ন রমজানে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রায় সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনী সামগ্রী। মাছ, সকল প্রকার মাংস, ডিম, চাল, ডাল, চিনি, লবন, আটা, ময়দা সহ গরম মসলা, মরিচ, শাক-সবজীর দাম লাগাম ছাড়াই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতে অনেক দরিদ্র পরিবার ক্রয় করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার কারনে দুশ্চিন্তায় পরেছে। দরিদ্র পরিবারের সীমিত আয় দিয়ে কি ভাবে ক্রয় করবে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় দব্য সামগ্রী। কিছু দিন পূর্বের তুলনায় অধিকাংশ দব্য ২/৩ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের আয় বৃদ্ধি পায়নি। তাই নিম্ন আয়ের লোকজন ও দরিদ্র প্রান্তিক চাষিদের একই অবস্থা। চলতি বোর চাষে হাতে থাকা সমস্ত অর্থ ব্যয় করে বোর উৎপাদন করেছে। বোর চাষেও গত বছরের তুলনায় এ বছর ব্যয় হয়েছে দ্বিগুন।
এখন কৃষকদের হাতেও টাকা নেই। শ্রমিকদের আয়ও সীমিত। বর্তমান বাজারের সকল পণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় অত্র উপজেলা দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকেরা দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি সংকিত হয়ে পরেছে। আসন্ন রমজানে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের পরিবারে জন্য টি.সি.বি ও ১৫ টাকা কেজি চাউলের কার্ড বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে বিজ্ঞমহল মনে করে।
উল্লেখ্য দরিদ্র শ্রেণির লোকেরা প্রতি সপ্তাহে বাজার থেকে ২০/৩০ টাকার মিশ্র গরম মসলা ক্রয় করছে। বর্তমানে মসলার দাম ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি হওয়ার কারনে, এখন আর ২০/৩০ টাকার মসলা দোকানি বিক্রি করে না। তাই দরিদ্র পরিবারের লোকদের এখন আর গরম মসলা ক্রয় করার কথা ছেড়েই দিয়েছে। বর্তমানে গরম মসলার সাথে সকল দব্যমূলোই গরম হয়ে উঠেছে।