৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / কৃষি ও প্রযুক্তি

সাদুল্লাপুরে উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদনে ঝুঁকেছে কৃষকরা

১১ ডিসেম্বর, ২০২২

মো:তৌহিদুল ইসলাম,
পলাশবাড়ী উপজেলা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

ছবি: পাটবীজ উৎপাদনে ঝুঁকেছে কৃষকরা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুের উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদনে ঝুঁকেছে কৃষকরা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে রোববার (১১ ডিসেম্বর) উপজেলার রসুলপুর, ফরিদপুর ও ইদিলপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু কৃষকের মাঠে দেখা যায় পাটবীজ ক্ষেতের চিত্র। বাম্পার ফলনের সম্ভবনায় হাসি ফুটেছে এই কৃষকদের।

সাদুল্লাপুর উপজেলা পাট অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিজড়িত পরিবেশ বান্ধব সোনালী আঁশ পাটের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী। অভ্যান্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে পাটখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ফলে প্রান্তীক চাষিদের মধ্যে পাট ও পাটবীজ উৎপাদনে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ধরা অব্যাহত রেখে সাদুল্লাপুর উপজেলায় উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চলতি মৌসুমে ১৫-১৬ একর জমিতে পাটবীজ আবাদ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ১০ গ্রুপের কৃষক বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ৬ হাজার কেজি পাটবীজ।

কৃষক ছামছুল হক জানান, তোষাপাট আবাদে এসব বীজ অন্যান্য কৃষকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এই বীজ বিক্রি করে একদিকে বাড়ছে পাটচাষির সংখ্যা, অনদিকে অনেকটাই লাভবান হচ্ছে পাটবীজ চাষিরা। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, পাটবীজ আবাদে প্রতি বিঘাতে খরচ হয়  ৮-১০ হাজার টাকা। খরচ বাদে বীজ বিক্রি করে প্রায় ১০ হাজার টাকায় আয় করা যেতে পারে।

আরেক কৃষক হাসেন আলী জানান, পাটবীজ উৎপাদনে সাদুল্লাপুর উপজেলা পাট উন্নয়ন বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তারা। বীজ উৎপাদনের জন্য বিঘাপ্রতি জমিতে ৬০০-৭০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। এ থেকে ১০০-১২০ কেজি বীজ উৎপাদন করা সম্ভব।

সাদুল্লাপুর উপজেলা পাট অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা
মিথুন সরকার জানান, পাট ও পাটবীজ উৎপাদনে যেমন জমির উর্বরত শক্তি বাড়ে, তেমনি কৃষকরাও লাভবান হতে পারে। তাদের আরও লাভবান করতে বিমানমূল্যে বীজ-সার ও প্রশিক্ষণ দিয়ে মাঠপর্যায়ে সার্বিব সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে ৩০ একর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলে। সেটি অর্জন হয়েছে ১৫-১৬ একর। উৎপাদিত বীজ ২০০ টাকা কেজি দরে সরাসারি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করছে পাট অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বিএডিসিও কিনে নিচ্ছেন কৃষকের এই পাটবীজ।

Related Article