২১ নভেম্বর, ২০২২
মো:তৌহিদুল ইসলাম, 
ছবি: জ্যোতিশ চন্দ্র সরকার।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ২০ নভেম্বর রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি আসার পথে নিখোঁজ হয়েছেন ব্যবসায়ী জ্যোতিশ চন্দ্র। রাতভর মোবাইল ফোনে চেষ্টাসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পায়নি স্বজনরা। সোমবার সকালে বাড়ির অদুরে তরফবাজিত এলাকার ভাই-ভাই রাইচ মিলের পাশের পুকুর পাড়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও পায়ের সেন্ডেল দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এসে পুকুরসহ আশপাশের ধান ক্ষেতে খোঁজাখুজি করেও তাকে পায়নি। এ ঘটনা ছড়িলে পড়লে পুকুর পাড়সহ ওই রাইচ এলাকায় ভিড় জমান শতশত নারী-পুরুষ।
নিখোঁজ জ্যোতিশ চন্দ্র সরকার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের তরফবাজিত গ্রামের মৃত্যু গংগাধর সরকারের ছেলে। তিনি নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লিমিটিডের একজন ডিলার। সাদুল্লাপুর বাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সংলগ্ন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
হঠাৎ করে জ্যোতিশ চন্দ্র সরকার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা রহস্যজনক বলছেন স্থানীয়রা।তবে মোটরসাইকেল ও স্যান্ডেল রেখে নিখোঁজের এমন ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয়রা বলছেন, সকালে পুকুর পাড়ে তার মোটরসাইকেল স্টান্ড অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। মোটরসাইকেলে হেলমেট এবং পাশেই তার পায়ের স্যান্ডেল পড়ে ছিলো। তাৎক্ষণিক পুকুরের পানিতে নেমেও তাকে খোঁজাখুজি করেন স্থানীয়রা।
আর জ্যোতিশ চন্দ্রের হঠাৎ মোবাইল ফোন বন্ধ ও বাড়ি না ফেরার ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা এখন চরম আতঙ্ক-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। কান্নায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জ্যোতিশ চন্দ্রের স্ত্রী ও সন্তানরা। তারা বলছেন, ব্যবসায়ীক কিংবা পারিবারিক কারো সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই। তবে তাকে অপহরণ কিংবা গুম করা হয়েছে ধারণা তাদের। দ্রুত তাকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
জ্যোতিশ চন্দ্রের ছেলে তন্ময় বলেন, রাত ১১টার দিকে দোকান থেকে বাড়ির পাশে এসে বাবা ঔষধ কেনার জন্য আবার সাদুল্লাপুর শহরে যায়। দোকান থেকে ঔষধ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এরপর থেকে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। বাবাকে কেউ অপহরণ নাকি হত্যা করেছে তাও অজানা তার।
এদিকে, হঠাৎ করে ব্যবসায়ী নিখোঁজের ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা। কেউ তাকে অপহরণ কিংবা ঘুম করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, পুকুর পাড়ে রেখে যাওয়া তার ব্যবহ্নত মোটরসাইকেল ও স্যান্ডেলসহ ঘটনাস্থলের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মোবাইল ট্রাকিং করে অবস্থান শনাক্তের পাশাপাশি আমরা তাকে উদ্ধারে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।
Good news
Good
