২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষা, চিকিৎসা, রেলপথ, ব্যবসাসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের একটি ঐতিহাসিক এলাকা রুহিয়া থানা শহর। ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানা শহরে প্রতিদিন যাতায়াত করে অন্তত লক্ষাধিক মানুষ। থানা শহরটিতে প্রবেশের প্রধান পথ জেলা শহর ঠাকুরগাঁও-রুহিয়া-আটোয়ারী এই তিন এলাকার কেন্দ্র বিন্দু হল রুহিয়া চৌরাস্তা। থানা শহরের বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ গন্তব্যস্থলের যানবাহনে ওঠানামা করে। অথচ সেই রুহিয়া চৌরাস্তায় জনসাধারণের জন্য গণশৌচাগার নেই।
এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সব চাইতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় মহিলা যাত্রীদের যারা দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করে। পুরুষরা কোনোভাবে খোলা জায়গায় টয়লেট করতে পারলেও নারী ও শিশুরা তা করতে পারছেন না। এতে তারা বাইরে বের হয়ে অস্বস্তিতে পড়েন। থানাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার গণশৌচাগার স্থাপনের দাবি উঠলেও কার্যকর সমাধান হচ্ছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, থানা শহরের অন্যতম ব্যস্ততম স্থান রুহিয়া চৌরাস্তা থেকে রামনাথ বাজারের এমপি মোড় এলাকা। পাশ্ববর্তী আটোয়ারী, বালিয়াডাঙ্গী ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মানুষ ব্যবসাসহ বিভিন্ন কারণে এ সড়ক হয়েই বাসযোগে বা বিভিন্ন যানবাহনে রুহিয়া থানা শহরে প্রবেশ করে। প্রতিদিন এই এলাকা দিয়ে চলাচল করেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও রোগীসহ হাজারো মানুষ। এছাড়াও রুহিয়া থানার সেবা গ্রহণ, রেল সেবা, এলএস ডি, ছাড়াও এই এলাকায় রয়েছে একটি ঐতিহাসিক রুহিয়া আজাদ মেলা যেটি প্রতি বছর মাসাধিক কাল স্থায়ী থাকে। কিন্তু এত জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটিতে কোন গণশৌচাগার নেই। প্রয়োজনে অনেকে আশপাশের হোটেল-রেস্তোরাঁর শৌচাগার ব্যবহার করলেও অধিকাংশই সে সুযোগ পায় না।
অন্যদিকে থানার ৬ টি ইউনিয়নের মানুষ থানা শহরে এসে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। প্রতিদিন শত শত যাত্রী রুহিয়া চৌরাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এ অবস্থায় জনবহুল স্থানগুলোয় শহরের বাইরে থেকে আসা মানুষকে বিপাকে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ বিষয়ে ঢোলারহাট ইউনিয়নের মিজানুর রহমান জানান, দূর থেকে যানবাহনে আসলে প্রসাব পায়খানা করার ইচ্ছা হলে অনেক কষ্ট হয়। রুহিয়া থানায় সেবা নিতে আসা রাজাগাঁও গ্রামের হাজেরা বেগম জানান, গণশৌচাগার না থাকায় অনেক কষ্ট হয়। যদি একটি গণশৌচাগার তৈরি করা হয় মানুষ অনেক কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে।
রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু শৌচাগার না থাকায় দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, আসলে রুহিয়া একটি ব্যস্ততম এলাকা এই এলাকায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসে কিন্তু একটা গণশৌচাগার নেই তিনি বলেন আমিও একটা গণশৌচাগার নির্মাণের দাবি করছি।
রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক গনেশ চন্দ্র সেন বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে রুহিয়া একটি ঐতিহ্য বাহী নাম এই এলাকাটি একটি শিক্ষানগরী ও রেল যোগাযোগ সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অথচ এখানে নেই কোন গণশৌচাগার। তিনিও অনতিবিলম্ব গণশৌচাগার স্থাপনের জোর দাবি করেন।
রুহিয়া থানা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রুহিয়া থানা শহর একটি বানিজ্যিক কেন্দ্র বিন্দু এখানে প্রতি দিন লক্ষাধিক মানুষ বিভিন্ন কাজে আসে কিন্তু দুঃখের বিষয় এইরকম ব্যস্ততম এলাকায় নেই কোন গণশৌচাগার।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, রুহিয়া থানা শহর একটি জনবহুল এলাকা এই এলাকায় থানার ৬ টি ইউনিয়ন সহ আশপাশের উপজেলা থেকে বিভিন্ন কাজে আসতে হয় কিন্তু একটি গণশৌচাগার না থাকায় হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগে পরে।
Good news
Good