১৭ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
জাতীয় / অর্থনীতি ও বাণিজ্য

রিজার্ভ সংকটে স্বস্তির ঋণ

১০ নভেম্বর, ২০২২

মোঃ সোলায়মান,
ডাবলমুরিং উপজেলা ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

ছবি: ঋণের বিভিন্ন দিক।

অর্থনীতিতে সংকট চলছে। সরকারও বার বার সতর্কবাণী উচ্চারণ করছে। এই সময় আইএমএফের ঋণের সবুজ সংকেত কিছুটা স্বস্তি দেবে। তবে অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নতির জন্য দরকার সংস্কার। আর আইএমএফের পক্ষ থেকে তা থাকল ঋণের স্বীকৃত-অস্বীকৃত শর্ত হিসেবে।    

অবশ্য আইএমএফের একটি শর্ত শুরুতে মানতে হয়েছে। সেটা হলো রিজার্ভের হিসাব। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে দ্বিমত ছিল আইএমএফের। বাংলাদেশ সেই আপত্তি মেনে নিয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের হিসাব জানিয়েছিল ৩৪ বিলিয়ন ডলার। গতকাল তা থেকে আট বিলিয়ন ডলার বাদ দিয়ে রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে। বাকি অর্থে মূলত রপ্তানি ও বিনিয়োগ উন্নয়ন নামের দুটি তবহিল করা হয়েছে এবং শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেওয়া হয়েছে।

আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। তখন পাওয়া যাবে ৪৪৭.৪৮ মিলিয়ন ডলার। আর সর্বশেষ কিস্তির ঋণ পাওয়া যাবে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। ঋণের সুদহার হবে বাজারদর অনুযায়ী। গড় সুদহার হবে ২.২ শতাংশ।

সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যালান্স অব পেমেন্ট ও বাজেট সহায়তা বাবদ দেড় বিলিয়ন করে তিন বিলিয়ন ডলার চেয়েছিল। বাকি দেড় বিলিয়ন চাওয়া হয়েছে আইএমএফের নতুন উদ্যোগ, সহনশীলতা ও টেকসই সহায়তা তহবিল (ট্রাস্ট) থেকে।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল জানান, ঋণের মোট তিনটি অংশ। এর মধ্যে প্রথম অংশের ৮২২.৮২ মিলিয়ন এসডিআরের জন্য কোনো সুদ দিতে হবে না। ঋণের বাকি অংশের মধ্যে ১৬৪৫.৬৪ এসডিআরের সুদহার নির্ধারিত হবে এসডিআর ফ্লোটিং রেটের সঙ্গে ১ শতাংশ যোগ করে। আর বাকি এক বিলিয়ন এসডিআরের সুদহার হবে এসডিআর ফ্লোটিং রেটের সঙ্গে ০.৭৫ শতাংশ যোগ করে।

আইএমএফ যা বলেছে : আইএমএফ প্রতিনিধিরা পৃথক ব্রিফিং করেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তাঁরা। এ সময় স্টাফ মিশনের নেতা রাহুল আনন্দ বলেন, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্ব মূল্যস্ফীতির চাপে আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। ফলে আমদানি করা পণ্য বেশি দামে আনতে হচ্ছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সব মিলিয়ে এ বছর বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৯ শতাংশে।

তবে অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে থাকলেও বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়া নিয়ে আইএমএফের কোনো উদ্বেগ নেই। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের উন্নয়ন অংশীদারি দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটলেও এই সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না।

Related Article