২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: রামু বঙ্গবন্ধু উৎসবের প্রস্তুতি
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে উপস্থাপনের লক্ষে রামুতে বর্ণিল ও নান্দনিক আয়োজনে শুরু হবে 'বঙ্গবন্ধু উৎসব'। আগামীকাল রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় রামু স্টেডিয়ামে সাত দিনব্যাপী 'বঙ্গবন্ধু উৎসব' উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন, বর্ষীয়ান আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১০২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু ভক্ত 'বঙ্গবন্ধু উৎসব' উদ্বোধনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
"বর্ণাঢ্য এ উৎসব সফল করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, সাহিত্যিক-সাংবাদিক এবং পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সমন্বয়ে ১০১ সদস্যের কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হয়েছে। সাত দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু উৎসবে সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন 'বাফুফে' সদস্য বিজন বড়ুয়া। রামুর বঙ্গবন্ধু উৎসবের পৃষ্ঠপোষক ও সমন্বয়ক কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল জানান, বর্ণিল ও নান্দনিক আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও রামুর বঙ্গবন্ধু উৎসব দেশের একটি বৃহত্তম উৎসব হিসেবে উদযাপন করা হবে। এ উৎসবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলাচনা, বঙ্গবন্ধুর জীবনচারণে ও মুক্তিযুদ্ধের ঘটনার উপজীব্য নাটক, কবিতা পাঠ, মুক্তিসংগ্রামের গানে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রজন্ম জানবে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্জন, জাতির পিতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা, মুক্তিযোদ্ধার ত্যাগের কথা।
তিনি আরো বলেন, আজকের প্রজন্ম যদি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে না পারে, তাহলে তারা স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মকথা জানবে না। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই রামুতে আয়োজন করা হয়েছে সাত দিনব্যাপী 'বঙ্গবন্ধু উৎসব'। ২৯ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য 'বঙ্গবন্ধু উৎসব' অশ্লীলতা ও জুয়ামুক্ত থাকবে বলেও তিনি ঘোষনা দেন।
গতকাল শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে 'বঙ্গবন্ধু উৎসব' স্থল পরিদর্শনে দেখা যায়, উৎসব উপলক্ষে রামু স্টেডিয়ামে ১২০ টি স্টলে পশরা সাজানো প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গ্রামীণ শিল্প, শিশুদের খেলনা, পোষাক, গহনা, খাবার দোকান থেকে শুরু করে গৃহস্থালির নিত্যপণ্যের দোকান থাকছে এসব স্টলে। নাগরদোলা, নৌকায়দোলা, রেলগাড়িতে চড়া শিশু, কিশোরসহ সব বয়সের মানুষের কাছে আকর্ষণ বাড়িয়েছে এ উৎসব। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা থাকবে এ মেলা। মেলায় প্রবেশে কোন টিকিট লাগবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজকরা।
Good news
Good