৩০ Jun, ২০২৩
ছবি: চামড়া কেনা-বেচা
বরাবরই কোরবানির ঈদ আসলে বাংলাদেশে আলোচনায় থাকে কোরবানির পশুর চামড়া প্রসঙ্গ। এবারও তার কোনো ব্যতিক্রম ঘটেনি। দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে বিক্রেতাদের মাঝে। একেবারেই যেনো কোরবানির পশুর চামড়া অবিক্রিত পণ্য হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন।
চামড়ার স্যান্ডেল, জুতা, ব্যাগ বা অন্য কোনো পণ্য কিনতে গেলে সাধারন মানুষের রীতিমত ঘাম ঝরে যায়। অথচ যা থেকে এই দামি পণ্য তৈরি হয়, তার বাজার দর একদম তলানিত কিছুতেই মানতে পারছেন না সাধারণ মানুষরা। কোরবানির চামড়ার এমন বাজার দরে অখুশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কিছুটা দাম পাচ্ছে গরুর চামড়ায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভ্যান গাড়িতে করে অনেকেই বাজারে চামড়া বিক্রি করতে এসে ঘুরছেন। এদেরকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলছেন ভ্যান গাড়িতে করে যে চামড়া বিক্রি করতে এসেছি তাতে করে ভ্যান গাড়ির ভাড়াই হচ্ছে না। চামড়া বিক্রি করে কি করব মনে মনে রাগ হচ্ছে যে আমরা ফেরত নিয়ে গিয়ে তা পুঁতে ফেলি। দামের এই অবস্থার কারণে অনেকে চামড়া মাটির নিচে পুতেও ফেলতে দেখা যাচ্ছে। একই উপজেলার পালাশি গ্রামের সাকের আলী নামের এক ব্যক্তি তার সমাজের ছাগল ও খাসির ৩০টি কোরবানির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ১৮০ টাকা দিয়ে। অপর আরেকজন ব্যক্তি সাইদুল ইসলাম নামের তিনি তার সমাজের ১৫টি চামড়া বিক্রি করেন ১৬০ টাকা দিয়ে।
এই বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ (পিএএ) তিনি বলেন, আসলে গ্রামের মানুষদের আরও একটু সচেতন হতে হবে। কারণ লোকাল স্থানীয় বাজারে চামড়া বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না। আর উপজেলার বানেশ্বর এবং বেল পুকুরে চামড়া বিক্রির আরৎ আছে সেখানে চামড়া বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে।