১৭ অক্টোবর, ২০২৩
ছবি: বেগুন খাদক আব্দুল গাফফার।
পুঠিয়ার বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফার। প্রতিদিন তিনি তিন থেকে চার কেজি কাঁচা বেগুন নিমেশেই খেয়ে ফেরতে পারেন।
বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফার উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
আব্দুল গাফ্ফার পেশায় একজন চার্জার ভ্যান চালক। বিগত দেড়যুগ ধরে চার্জার ভ্যান চালিয়ে তিনি কাঁচামাল আনা নেওয়া করেন।
কাঁচামালের মধ্যে বেশির ভাগ সময় সে তার ভ্যানে বেগুন নিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে আনা নেওয়া করে থাকেন। প্রথম দিকে শখের বসে দুই একটা করে বেগুন খেতেন। বর্তমানে তিনি এক সাথে তিন থেকে চার কেজি বেগুন খেতে পারেন। এতে তার কোন ধরনের অসুবিধা হয় না।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে বেগুন খাদক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি অন্যান্য দেশীয় ফলের চেয়ে কাঁচা বেগুন তার কাছে অধিক সুস্বাদু লাগে। তিনি বলেন, বেগুন খেয়ে আমার কোন ধরনের অসুবিধা হয়না। আগে সখের বসে দুই একটা বেগুন খেতাম। এখন বেগুন দেখলেই এক সাথে কয়েক কেজি বেগুন না খেলে থাকতে পারিনা।
তাই বেগুন খাওয়া তার নেশায় পরিনত হয়েছে। তবে তিনি আরও বলেন, সাদা বেগুনের চেয়ে লাল গোল বেগুনটা বেশি খেতে পছন্দ করেন।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাঁচা বেগুন খেলে বিভিন্ন ধরনে সমস্যা হতে পারে। যেমন, শুধু বেগুন খেলে তার অন্যান্য পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য সে গ্রহন করতে পারবে না।
এ কারণে তিনি পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারেন। কাঁচা বেগুনে বিভিন্ন ধরনের জীবানু থাকার কারণে হজমের আসুবিধা হতে পারে। এতে পেটের পিড়াসহ পাতলা পায়খানা ও বিভিন্ন ধরনের শারিরিক আসুবিধা হতে পারে। তবে বেগুন খাদক আব্দুল গাফ্ফারের শারিরিক আসুবিধা না হওয়ার বিষয়টি তিনি ব্যতিক্রমী একটি ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
তবে বেগুন সেদ্ধ করে খাওয়াটাই শ্রেয় বলে এ চিকিৎসক পরামর্শ দেন।