২২ অক্টোবর, ২০২৩
ছবি: সংগৃহীত
পুঠিয়ায় অপহরণকারী দুই রাউন্ড গুলি করে চম্পট দিয়েছে বলে এক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গিয়েছে।
গতকাল আনুমানিক সন্ধ্যার সময় পুঠিয়া ত্রীমহণি বাজারের তাহেরপুর রোড সংলগ্ন অটোরিকশা স্ট্যান্ডে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনা তদন্তে গিয়ে উক্ত স্থানে প্রত্যক্ষদর্শীর নিকট থেকে জানা যায়, হঠাৎ একটি হায়েচ প্রাইভেট কারকে কয়েকজন ব্যাক্তি আটক করে। এবং তারা সেই হায়েচ গাড়িটি সার্চ করতে চায়। তৎক্ষনাৎ হায়েচ থেকে একজন জানালা দিয়ে হাত বের করে দুই রাউন্ড গুলি ফায়ার করে। ফায়ারের বিকট শব্দ শুনে উপস্থিত আটককারী ব্যাক্তিরা পিছু হটে।
এই সুযোগে অপহরণকারীরা হায়েচ নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে নাটোর রোড বরাবর ছুটতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পরেই আটককারীরা জানতে পারে যে, অপহরণ হওয়া ব্যাক্তিকে ঝলমলিয়া ও শেনভাগ রোডের মাঝে এক জনশুণ্য স্থানে ফেলে অপহরণকারীয়া পালিয়েছে।
খবর পেয়ে আটককারীরা উক্ত স্থানে পৌঁছে তাকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় অপহরণ হওয়া ব্যাক্তির হাত ও পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ওয়ার্ড নং ৩১ অর্থ-সার্জারী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসাধীন আছেন।
উক্ত ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের রেজিস্ট্রার থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করায় অপহরণকারীর জামাই ফোন রিসিভ করেন।
তিনি বলেন, “আমার শ্বশুর মোঃ আবু রায়হান শাহকে নলডাঙ্গা থানার মির্জাপুর নামক স্থান থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা প্রথমে একটি হায়েচ গাড়ি নিয়ে গিয়ে আমার শ্বশুরের সামনে থামিয়ে দুইজন ব্যাক্তি হায়েচ থেকে নেমে তারা পি.বি.আই এর লোক বলে পরিচয় দিয়ে গাড়িতে উঠতে বলেন। তিনি উঠতে রাজি না হওয়ায় তাকে জোর করে হায়েচে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এমন খবর আমার কাছে আসা মাত্রই আমার বাড়ি তারাপুর থেকে আমরা কয়েকজন পুঠিয়া ত্রীমহনি বাজার তাহেরপুর মোরে অবস্থান নিই এবং হায়েচ আসা মাত্রই আমরা আটক করি।” পরবর্তীতে তিনি উপরের ঘটনা বর্ণনা করেন।
এ বিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আগামীকাল থানায় গিয়ে অভিযোগ করা হবে।”