২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: অভিযুক্ত বিবিএফ ইটভাটা
পরিবেশ অধিদফতরের কোনো ছাড় পত্র ছাড়াই দেদারছে চলছে ইটভাটা। উল্টো এক ইটভাটা মালিক দাবি করেন তিনি সবাইকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছেন তার ইটভাটা। এলাকাবাসির পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে বহুদিন থেকেই অভিযোগ আসছে যে, উপজেলার শীলমাড়িয়া ইউনিয়নের, ভরতমাড়িয়া গ্রামের পাশে দনকুড়িতে আয়ুব আলীর ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে গাছ কেটে, গাছ (খড়ি) দিয়েই পোড়ানো হচ্ছে ইট, চালানো হচ্ছে ইটভাটা।
এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে সরেজমিনে সেখানে গেলে দেখা যায়, গাছের অংশ (খড়ি) দিয়েই পোড়ানো হচ্ছে ইট। বিবিএফ নামের ঐ ইটভাটায় কখনো নাকি কয়লা দিয়ে পোড়ানোই হয়নি ইট। বিবিএফ নামের ঐ ইটভাটায় সাংবাদিকরা কয়লার কোনও অস্তিত্বই দেখতে পাননি। গাছের অংশ (খড়ি) দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট। ইটভাটার চারিধারে কাটা গাছের বহু অংশ দেখা যায় পড়ে থাকতে, আর সেগুলো দিয়ে চলছে ইটভাটা।
গাছ দিয়ে ইটভাটা চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, কয়লার অনেক দাম, তাই গাছ দিয়ে ইটভাটা চালানো হচ্ছে। পোড়ানো হচ্ছে ইট। এ বিষয়ে জানতে ইটভাটার ম্যানেজার শামীম হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়লার দরকার নেই, গাছ (খড়ি) দিয়ে ইট পড়ানোর আমাদের অনুমতি রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বিবিএফ ইটভাটার মালিক আইয়ুব আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি “তারুণ্য ২৪”কে বলেন, “দেশের সকল ইটভাটা অবৈধ। সবখানে ম্যানেজ করেই আমার ইটভাটা চলছে। আমরা সরকারকে সবচেয়ে বেশি ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে কাজ করছি। গাছ (খড়ি) দিয়ে ইটভাটা চালানোর অনুমতি আছে বলেই, আমরা গাছের অংশ (খড়ি) দিয়ে ইটভাটায় ইট পড়াচ্ছি।“
এদিকে গাছ দিয়ে ইটভাটা চালানোর বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ কবির হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই অবৈধ ২৫ টি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছি। ইটভাটায় গাছ পোড়ানো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। যদি কেউ গাছ দিয়ে ইটভাটা চালায় তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং অন্যায়। আমরা প্রতিনিয়ত অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। এত বেশি ইটভাটা যে সবখানে সব সময় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই যেগুলো ইটভাটা অবৈধভাবে চলছে, আমরা খুঁজে বের করে সেই ইটভাটা গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।