১২ মার্চ, ২০২৩
ছবি: ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ১০ টাকা সের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি করে দেওয়া চালের কার্ড অন্যের নামে করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লেখা আবেদন পত্র থেকে জানা যায় যে, মোঃ মোজাম্মেল হক, পিতা মৃত, কছিমুদ্দিন, পুঠিয়ার ৪ নং ভালুকগাছী ইউপির কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার কোনো জমি-জমা নাই। উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের কাছেই সেলুনে কাজ করে নিজের সংসার চালায়। দশ টাকা কেজির, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড করেছিল, যার কার্ড নং ৬৭৮ উক্ত কার্ড সংশোধন করে নতুন কার্ড নং ২৫ উক্ত কার্ডে দুই বার চাউলও পায়। কিন্তু পরবর্তিতে অনলাইনে নতুন কার্ড করেন যাহার কার্ড নং ১৪০১ উক্ত কার্ডে তাকে ১৭/১১/২২ইং তারিখে চাউল দিবে বলে কার্ডে লিখেন কিন্তু তিনি চাউল পাননি। তাই উনার পুনরায় দশ টাকা কেজি চাউলের কার্ডটি বহাল রাখার জন্য আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, কে বা কারা অন্য কারো সাথে আমার চাউলের কার্ড পরিবর্তন করে অন্য মানুষের নামে করে দিয়েছে। চাউলের কার্ড ডিজিটাল করে দিবে বলে আমার সাথে ছলনা করা হয়েছে। আমাকে কোন ভাবে জানতে দেয়নি যে আমার কার্ড আরেকজনকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিভাবে কি করলো আমি কিছুই জানিনা। আমি একজন গরিব মানুষ তেমন কোনো আয় রোজগার নাই। দয়া করে আপনারা আমার চাউলের কার্ড ফিরিয়ে দিন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগে এক নিয়মে চাউল দেওয়া হতো বর্তমানে ওই চাউলের কার্ডধারীদের নাম ঠিকানা সকল কিছু ডিজিটাল করা হয়েছে তার জন্য সরকার সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোজাম্মেল হক ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ না করায় তার নাম বাদ দিয়ে অন্য আরেকজনের নাম দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ডিলার তিনিও একই রকম কথা বলেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ "তারুণ্য ২৪"কে বলেন, এই সংক্রান্ত একটি দরখাস্ত পেয়েছি। আমি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।