৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের মিনি মার্কেটে পুরাতন শীত পোশাকের মেলা

০৮ ডিসেম্বর, ২০২২

মোঃ শামীম হোসাইন,
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

ছবি: পটুয়াখালীতে পুরাতন শীত পোশাকের মেলা।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের মিনি মার্কেটে পুরাতন শীত পোশাকের পশরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। সাপ্তাহিক বাজারের দিন বলে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছে এসকল ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা সাধারনের ভীরও চোখে পড়ার মতো।

কম দামে উন্নতমানের বিদেশি সব ধরনের শীত পোশাক পাওয়া যায় এখানে। স্বল্প আয়ের মানুষগুলো নিজেদের পছন্দের পোশাক ক্রয়ের জন্য ভীর জমায় এ বাজারে।


তাই প্রতি শীত মৌসুমে গরীবের বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে আসছে পৌর শহরে অবস্থিত এ অস্থায়ী বাজারটি। একাধিক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে জানা যায়, তাইওয়ানসহ বিভিন্ন দেশের শীতের পোশাক খুব স্বল্প দামে পাওয়া যায় এখানে।

একটু পুরাতন এ পোশাকগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে চট্রগ্রাম হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছায়। এগুলো বিভিন্ন গাইডে আমাদের দেশে আসে। বড়দের প্রতিটি গাইডে ৭০ থেকে ৭৫ পিছ জ্যাকেট, সোয়েটারসহ অন্যান্য শীত বস্ত্র থাকে। প্রতিটি গাইডের মূল্য ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়।


ব্যবসায়ীরা এগুলোকে বিভিন্ন সাইজে ভাগ করে মূল্য নির্ধারন করে। এতে অত্যান্ত উন্নত ও ভালো মানের শীত বস্ত্র ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ক্রেতারা কিনতে পারে। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য আলাদা গাইড থাকে। যা বেবি গাইড নামে পরিচিত। এ গাইডগুলোর এ্যাভারেজ মূল্য ১২,৮০০ টাকা।

বাচ্চাদের প্রতিটি পোশাক ১০০ থেকে ৩০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। যা অতি স্বল্পমূল্যে তুলনামূলক কম আয়ের মানুষ ক্রয় করতে পারে। তবে পোশাকের মান যত ভালো হয় তার দামটাও একটু বেশি হয়ে থাকে। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশীম খেতে হয় স্বল্প আয়ের মানুষগুলোকে।


যেখানে বাড়তি টাকা খরচ করা দুষকর হয়ে যায়। তাই কম মূল্যে শীত বস্ত্র পাওয়ায় সব ধরনের মানুষ ভীর জমায় এ গরীবের বাজারে। ক্রেতারাও কম দামে তাদের পছন্দমত পোশাক কিনতে পেরে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। শীত বাড়ার সাথে সাথে ভীর জমতে থাকে গরীবের বাজার হিসেবে পরিচিত এ বাজারে।

শীত বস্ত্র কিনতে আসা মাহাতাফ নামের এক ক্রেতা বলেন, এখানে খুব কম দামে ভালো মানের পোশাক পাওয়া যায়। বাচ্চাদের জন্য প্রতি শীতে পোশাক কিনে থাকে। আজও আসছি। চাকামইয়া থেকে আগত এক ক্রেতা হনুফা বেগম বলেন, ছেলের জন্য একটি জ্যাকেট কিনতে আসছি।


তবে প্রতি বছরের তুলনায় এবার দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী ফরিদ জানান, এখনও শীত তেমন পরেনি তাই বেচা-বিক্রি অনেক কম। তবে শীত বাড়লে বিক্রির পরিমান বাড়বে বলে আশা করছি।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good