১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
ছবি: সরকারি নাম ব্যবহৃত সাইনবোর্ডগুলো
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত লোগা ও ভুঁয়া কোড ব্যবহার করে অল্প টাকায় প্রশিক্ষণের সরকারি সনদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেআইনীভাবে মাইকিং-এর মাধ্যমে প্রশাসনের উদাসীনতায় প্রতারণার রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে কিছু ব্যক্তিগত অর্থলোভী ট্রেনিং সেন্টারের মালিক।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার খান প্লাজাতে মো. আবদুর রহিম নীরবের পরিচালনাধীন বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দোহাজারী শাখার প্রতিষ্ঠান কোড- চট্ট- ১৭১ এর সহযোগিতায় কনফিডেন্স প্লাস আইটি সেন্টার নামীয়, গাছবাড়িয়ার পুরাতন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নিচ তলায় মো. রেজাউল করিমের রুহী ট্রেডার্সের আড়ালে চন্দনাইশ শাখা,
নতুন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পাশে বকতিয়ার সোহেলের পরিচালনায় বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সলিউশন আইটি ইনষ্টিটিউটের বাহারি বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে এবং গণি সুপার মার্কেটের পশ্চিম পার্শ্বে জাতীয় কম্পিউটার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কোড নং ১০৮২৬ ও ১০৮২৭ আই সি এ আন্তর্জাতিক কম্পিউটার সংস্থার চন্দনাইশ ক্যাম্পার্সসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীতের ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন করিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
এসব প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী সংগ্রহ করতে এমএলএম কোম্পানির কৌশল অবলম্বন করে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করে আসছে বলে জানা যায়। ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধ দেশের নানান জেলা ও উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ, জরিমানা আদায় ও ভর্তি ফি এবং রেজিস্ট্রেশনের টাকা শিক্ষার্থীদের নিকট ফেরতের ব্যবস্থা করলেও এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন।
সরজমিনে তদন্ত করে আরোও জানা যায়, দীর্ঘ দিন যুব উন্নয়ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র" নামে উপজেলায় কয়েকটি কম্পিউটার শিক্ষা কেন্দ্র চালু হয়েছে
এসব প্রতিষ্ঠানগুলো ভূয়া ডকুমেন্টস বানিয়ে সরকার অনুমোদিত বলে এলাকায় প্রচার করেন এবং সাইনবোর্ডেও সরকার অনুমোদিত বলে উল্লেখ করে ব্যবসা করে আসছেন। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারের কোন অনুমোদন নেই।
এমনকি নির্ধারিত মেয়াদের কোর্সের কথা বলা হলেও, মেয়াদের আগেই সনদ
দেয়ার অভিযোগ আছে,
তাদের দেয়া সনদে নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি লোগো লাগিয়ে স্বাক্ষর করেছেন নিজেরাই। সরকারি চাকুরির আবেদন পত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়িত করতে প্রথম শ্রেণির গেজেট কর্মকর্তার স্বাক্ষর লাগলেও, এসব প্রতিষ্ঠানের সরকারি সার্টিফিকেটে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরে হরহামেশাই তৈরি হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ।
এই সনদ শিক্ষার্থীদের কোন কাজেই আসছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এই ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আ ন ম ছালেহ উদ্দীন জানান, জেলা পর্যায়ের মিটিং-এ এসব প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।