৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
কৃষি ও প্রযুক্তি

পলাশবাড়ীতে পেঁয়াজের চাষে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

০৬ জানুয়ারী, ২০২৩

মো:তৌহিদুল ইসলাম,
পলাশবাড়ী উপজেলা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

ছবি: পেঁয়াজের ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় অন‍্যান‍্য বছরের তুলনায় পেঁয়াজ চাষ বেড়েছে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষেত থেকে আগাম পেঁয়াজ উঠিয়ে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন চাষীরা।ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি তারা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাযায়,এবছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। বতর্মান মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-১,বারি-৪ পেঁয়াজসহ দেশী জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এসব জাতের পেঁয়াজের স্বাদ,গন্ধ হুবহু দেশী পেঁয়াজের মত। এছাড়াও চাষীরা এসব জাতের পেঁয়াজের বাজার মূল‍্য ভালো পান এবং এটি সংরক্ষণ করতেও বেশি সুবিধা। পলাশবাড়ী উপজেলায় নতুন এসব পেঁয়াজ মানভেদে পাইকারি বাজারে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ছোটভগবানপুর গ্রামের মৃত এমারত আলীর ছেলে খলিল ২৫ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। এর মাঝে তিনি সাথী ফসল হিসেবে বেগুন চাষ করেছেন। পেঁয়াজের ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তিনি বলেন,খরচ বাদ দিয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ হবে।

একই ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর সিআইজি মহিলা দলের সদস‍্য রোজিনা বেগম জানান,আমি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ন‍্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি-২) প্রকল্পের আওতায় তাহেরপুরী পেঁয়াজ চাষ করেছি তিন বিঘা জমিতে। কৃষি অফিসের পরামর্শে ও তাদের সহযোগিতায় আমি পেঁয়াজ চাষ করি। এপর্যন্ত যা দেখছি ;তাতে আমি পেঁয়াজ থেকে ভালো ইনকাম করতে পারব। পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে বেগুন, কুমড়া ও কচুঁ রয়েছে।

বরিশাল ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষী জানান, তিনি এ বছর প্রায় তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। পেঁয়াজের ফলনও বাম্পার হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজ তুলে বিক্রিও শুরু করে দিয়েছেন। দামও ভালো পাচ্ছেন। খরচ বাদে মোটামুটি তার ভালোই আয় হবে। 
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় পেঁয়াজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। পেঁয়াজ চাষে প্রণোদনাসহ উপজেলায় ১০ টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষ সফল করতে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে।

Related Article