১৮ মে, ২০২৩
ছবি: লোভনীয় হলুদ আম
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে পাকা আমের ছড়াছড়ি। ফলের রাজা আম, আমের স্বাদ আস্বাদন কার না ভালো লাগে। ল্যাংড়া, হিমসাগর, ফজলির মতো আম দেখলেই যেকোনো মানুষ আকৃষ্ট হবে। তবে বাজারে আসা এসব লোভনীয় হলুদ আম থেকে সাবধান। পাকা আমের ছলে হলুদ বিষ কিনছেন না তো?
পলাশবাড়ী উপজেলার বাজারগুলোতে কার্বাইড দিয়ে পাকানো হলুদ আম দিয়ে বাজার ভরপুর। এসব আম খেলে হতে পারে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ। আম পাকাতে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক হারে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে। এর ব্যবহার মানবদেহের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটির অতিরিক্ত সেবন একজন মানুষকে ক্যান্সারের শিকার করে তুলতে পারে। বাজারে আম কিনতে গেলে প্রথমে সেগুলি পরীক্ষা করে নিবেন।
চিকিৎসকদের মতে, কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে চোখে ঝাঁপসা,গা বমি,দূর্বলতা, শ্বাসকষ্ট,মাথাব্যথা,বুক জ্বালাপোড়া,ত্বকে ক্ষত সহ নানা সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে পরিপাকতন্ত্রের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ধীরে ধীরে কার্বাইড অন্ত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ক্রমাগত কার্বাইড গ্রহণের ফলে অন্ত্রে ক্যান্সার হয়। কার্বাইড লিভার ক্যান্সারও ঘটাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,সাধারণত গাছপাকা আম বা গাছ থেকে আধাপাকা আম অর্ধেক সবুজ ও অর্ধেক হলুদ থাকে। আমের গায়ে সবুজ দাগ দেখা যায়। কিন্তু কার্বাইডযুক্ত আমে এমনটি হয় না। এটি সম্পূর্ণ ফ্যাকাশে হলুদ দেখাযায়। হাতে নিলে গরম অনূভব হয়। গাছ থেকে পেড়ে নেওয়া আমের ক্ষেত্রে এটি হয় না। কার্বাইডযুক্ত আম চেনার উপায়, এক বালতি পানিতে আম রাখলে তা ভেসে থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই পাকা আম ডুবে যায়। যদি এগুলি ভাসতে থাকে তবে তাতে কার্বাইড রয়েছে।
Good news
Good