৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
স্বাস্থ্য

"ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্যে ভোগান্তি রোগীদের"

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কামরুল আরেফিন,
ফেনী জেলা (ফেনী) প্রতিনিধি

ছবি: ছবি: ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি ব্যবস্হাপএের ছবি উঠাচ্ছেন

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ফেনী
শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কস্হ  মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইস্কয়ার ল্যাবে'র ভিতরে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা চিকিৎসকের কক্ষ থেকে রোগী বের হওয়া মাএই তাদের  ব্যবস্হাপএের ছবি উঠাচ্ছেন।

ইস্কয়ার ল্যাব কর্তৃপক্ষের একটি সুস্পষ্ট নির্দেশনা চোখে পড়ল। উক্ত নির্দেশনা স্পষ্টভাবে লেখা আছে ব্যবস্থাপত্রের ছবি উঠানো সম্পূর্ণ নিষেধ। 

 উক্ত নির্দেশনা'র তোয়াক্কা  করছে না ঔষধ কোম্পানির  প্রতিনিধিরা।
দিনভর ঔষধ কোম্পানির
প্রতিনিধিদের দখলে থাকে শহরের সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল। সকাল থেকেই তারা বেসরকারি হাসপাতালের সামনে অবস্থান  নেন ও হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ভিতরে  অবাধ বিচরণ করতে থাকে। দলে দলে ভাগ হয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ভেতরে ডাক্তারের চেম্বারের সামনে অবস্থান নিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানা হেঁচড়া করেন। দেখেন কোন কোম্পানির 
ঔষধ রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লেখা হয়েছে। 
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অফিস সময়ে হাসপাতালে যাওয়ার নিয়ম না থাকলেও সকাল ১০টার আগেই দলে দলে ভাগ হয়ে সেখানে অবস্থান নিচ্ছেন  ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। হাসপাতালের ডাক্তারদের বিভিন্ন কক্ষের সামনের রোগীদের ভিড় থাকার সুযোগ নেন তারা। কক্ষ থেকে রোগী বের হওয়া মাত্রই তাদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে একেকজন টানাটানি শুরু করে দেন ব্যবস্হাপএের ছবি উঠানোর জন্য  এবং ডাক্তার কোন কোম্পানির ঔষধ 
লিখেছেন তা জানার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ আবার একটি ঔষধ বদলে নিজের কোম্পানির ঔষধ কেনার পরামর্শ দেন রোগীদের। কেউ আবার সুযোগ বুঝে ঢুকে পড়েন ডাক্তারের কক্ষে। রোগী দেখার সময় সেখানে অবস্থান নিয়ে তিনি নিজের কোম্পানির ঔষধ 
লেখানোর চেষ্টা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসকদের আয়ের প্রধান উৎসই হলো প্রাইভেট প্রাকটিস। ৯৮ শতাংশ চিকিৎসকই কোনো না কোনো ক্লিনিক কিংবা প্রাইভেট চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখেন। রোগী প্রতি ফি নেন ৫শ থেকে হাজার টাকা। সরকারি হাসপাতালে তড়িঘড়ি করে রোগী দেখেই দৌড়ান প্রাইভেট চেম্বারে। সরকারি হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই দু’হাতে টাকা কামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন চিকিৎসকরা। শুধু রোগী দেখার ফি নয়, নির্ধারিত ল্যাবে পাঠানোয় টেস্টের কমিশন, নির্ধারিত কোম্পানির  
ঔষধ লেখায় ঔষধ কোম্পানির কমিশন এবং নানা ধরনের গিফট পান। ফলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা কার্যত দিনে দিন চেম্বার নির্ভর হয়ে পড়েছে।
একজন চিকিৎসক সরকারি চাকুরির পাশাপাশি নিজস্ব চেম্বারে বসেন। এমনকি একাধিক চেম্বারেও বসেন। চেম্বারে বসা অন্যায় না হলেও সরকারি চাকুরিকে ব্যবহার করে চেম্বারে রোগী'র উপস্থিতি বাড়ান। তার
অধিকাংশ চিকিৎসকেরই ভিজিটিং কার্ডে চেম্বারের ঠিকানা উল্লেখ থাকে। একজন চিকিৎসক একাধিক চেম্বারও করে থাকেন।

Related Article