২১ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: প্রকল্পের একটি বাড়ি।
বিষ ও রাসায়নিক সার মুক্ত শাক সবজি, তরুলতা, বিভিন্ন ঔষধি ও ফলদ গাছে আচ্ছাদিত বাড়ির আঙ্গিনা। পাশেই ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরির শেড, খামারজাত সার উৎপাদন শেড, মাটি ও গোবর মিশ্রণ শেড করা পাঁচটি বাড়িকে মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প। আটপাড়া উপজেলার বানিয়াজান ও সূখারী ইউনিয়নের পাহাড়পুর ও দেওশ্রী গ্রামে গড়ে উঠেছে এই মডেল গ্রাম। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করণ প্রকল্পে আওতায় পাঁচটি বাড়ি নিয়ে এই প্রথম একটি মডেল গ্রাম গড়ে তুলা হয়েছে।
কিন্তু আটপাড়া উপজেলার এ প্রকল্পের কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মডেল গ্রামের শেড স্থাপনায় রয়েছে নানান অনিয়ম। এস্টিমেট অনুযায়ী যেভাবে করার কথা ছিল তার কোনটাই করেনি আটপাড়া উপজেলার কৃষি অফিসার ফয়জুন নাহার নিপা।
কাঠের বদলে বাঁশ, ইট বালু সিমেন্ট যে পরিমাণ দেওয়ার কথা ছিলো সেভাবে দেয়নি। মন গড়া ভাবে কাজ করেছে। যারা এর প্রতিবাদ করেছে তাদের পরবর্তীতে কোন সুযোগ সুবিধা দিবেনা বলে ভয় ভীতি দেখায়। এছাড়াও ফলের প্রতি গাছের মূল্য মনগড়া যার প্রকৃত মূল্য হতে পারে ৭০-১০০ টাকার বলে ধারণা করছেন কৃষকরা। শাক সবজি এক প্যাকেট বীজ কয়েক জন কৃষকের মাঝে বিতরণও করেছেন তারা।
এছাড়াও বৃহত্তম ময়মনসিংহ ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প আটপাড়া উপজেলার প্রকল্পের তথ্যের জন্য ১০ অক্টোবরে তথ্য অধিকার আইনে ২০০৯ আবেদন করলে ৩০ কার্যদিবস শেষ হওয়ার পর ও তথ্য দেয়নি কৃষি অফিসার বরং তিনি কেন তথ্য তুলছি কি কারণে তার বর্ণনা জানতে চেয়েছেন।তথ্যের জন্য কয়েকবার গিয়ে ও কোন লাভ হয়নি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়েছেন। ১০ নভেম্বর অফিসে গিয়ে তথ্য চাইলে কৃষি অফিসার ফয়জুন নাহার নিপা অফিস মেরামতের বাহানায় তথ্য দিবেন বলে জানান। কিন্তু এক সপ্তাহে ও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তথ্য না দিয়ে বরং বিভিন্ন লোক দিয়ে তথ্য না নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে আটপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফয়জুন নাহার নিপার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন কিছু না বলে দেখা করার কথা বলেন, এছাড়াও তথ্য না দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার অফিস কক্ষের কাজ চলছে কাজ শেষ হলে দিবেন। কিন্তু ৩০দিনেও কেন তথ্য দেয়নি তা জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
মডেল গ্রামের কৃষকগণ জানান, আমরা গ্রামের সহজসরল কৃষক তারা যেভাবে এই কাজ করেছেন আমরা তো তেমন কিছুই জানি না তবে তারা ইট মাত্র ২৫০-৩০০ টির মতো ইট দিয়েছে।কম সিমেন্ট দিয়ে লেপে দিয়েছে,নীচে কোন পলিথিন দেয়নি, বালু ও কম দিয়েছে তখন মাঠ কর্মীদের কাজ সঠিকভাবে করছে না বললে তারা উত্তেজিত হয়ে যায় এবং বলে আমার বাবার অনেক সম্পত্তি আছে এখান থেকে মেরে খেতে হবে না। আরও অনেক কিছু বলেছে, উনাদের একথা বলে যেন বিপদে পড়ে গেছি। আর গাছগুলোর কথা আর কি বলবো দাম শুনে তো অবাক হয়ে গেছি। কৃষি অফিসার কে মৌখিক ভাবে এসব অভিযোগ দিয়ে ও কোন লাভ হয়নি।
এছাড়াও আরও বলেন, শেডের চালে বাঁশ দিয়েছে এখনো দাম পরিশোধ করেনি এখন বাঁশের মালিক আমাদের কাছে এসে টাকা দাবি করছেন।মডেল গ্রাম হওয়াতে আমরা খুব আনন্দ ছিলাম কিন্তু সেটা যদি নামে মাত্র কাজ হয়।এতে ভার্মি কম্পোস্ট বা শাকসবজি উৎপাদনে বৃদ্ধি বা তেমন কোন উপকারে আসবে বলে মনে হচ্ছে না । প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কাছে একটায় দাবি সঠিক ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।
এদিকে সাংবাদিক রুবি এ প্রকল্পের তথ্য অধিকার আইনে -২০০৯ আবেদন না দেওয়ার কারণ জানতে চায়লে তিনি বলেন, আমি গত মাসের ১০ তারিখ বৃহত্তর ময়মনসিংহ ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প তথ্য চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে -২০০৯। ৪০ দিন হয়ে গেছে একনোও তথ্য দেয়নি,ঐ দিন আমার কাছ থেকে রিসিভ করা কপি টি কিছু লোক নিতে পাঠায় কিন্তু আমি দেয়নি।ঐ অফিসারের প্রকল্পের অনেক অনিয়ম রয়েছে । আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ে আপীলের আবেদন করবো।
উপজেলার কৃষি অফিসার এ কেমন আচরণ সাধারণ মানুষ কিভাবে ভাল কিছু আসা করবে জনমনে প্রশ্ন?
Good news
Good