২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ছবি: ছবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গত ৫ আগস্ট নিহত তানজিল মাহমুদ সুজয়ের (১৯) লাশ উত্তোলন করতে দেয়নি তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (২০/২) সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আদালতের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু মুছার নেতৃত্বে তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উত্তোলন করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে ।
এই সময় নিহত সুজয়ের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পড়ে লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম স্থগিত করে ফিরে আসতে বাধ্য হন প্রশাসন।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সুজয়। সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া সুজয় ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান। তার মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবিতে সোচ্চার পরিবার ও এলাকাবাসী।নিহতের মামা মাজেদুল হক বলেন, সুজয় নিহত হওয়ার ঘটনায় গত ২২শে আগস্ট তিনি আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো বলেন, "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেমন লাশ উত্তোলন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে, তেমনি সুজয়ের বিচারও লাশ উত্তোলন না করেই সম্ভব।ওই ওয়ার্ডের মেম্বার গিয়াসউদ্দিন জানান, দাফনের সময় সুজয়ের লাশ অর্ধগলিত ও পোড়া ছিল। লাশ উত্তোলন পরিবারের জন্য অত্যন্ত বেদনা ও কষ্টদায়ক হবে বলে তারা বাধা দিয়েছেন।ঢাকা জেলার সিআইডি পরিদর্শক মো. মাসুম বলেন, আদালতের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু মুছার নেতৃত্বে আমরা লাশ উত্তোলন করতে গিয়ে ছিলাম।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবু মুছা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,"আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা লাশ উত্তোলনের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু সুজয়ের পিতা ও তার আত্মীয়স্বজনের লিখিত এবং মৌখিক বক্তব্যকে সম্মান জানিয়ে লাশ উত্তোলন না করে ফিরে এসেছি।
Good news
Good