২৫ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমি চলনবিলের সন্তান হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। গত সাত দিনে আমার মা-বাবাদের চোখের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে আলো ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এটাই আমার রাজনৈতিক জীবনের সার্থকতা। মানুষের সেবা করতে টাকা লাগে না। লাগে ভালোবাসা আর আন্তরিকতা। শুক্রবার সকাল ৮ টায় নাটোরের সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি অনার্স কলেজ মাঠে উপজেলায় বিনামূল্যে চোখের লেন্সসহ চিকিৎসা গ্রহণকারী পাঁচ শতাধিক রোগীর সাথে মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, গত ১৩ বছরে চলনবিলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট উন্নতি করা হয়েছে। চলনবিলে সাড়ে তিনশ কিলোমিটার রাস্তা উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন। চলনবিলের দরিদ্র কৃষকের ছেলে-মেয়েদের অনার্স পড়তে নাটোর-রাজশাহী যেতে হত। এখন চলনবিলের কৃষিজীবি-শ্রমজীবি সন্তানেরা বাড়িতে পান্তা খেয়ে সিংড়া গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজে উচ্চ শিক্ষা লাভ করছে। সিংড়া বাসষ্ট্যান্ডে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে। সাতশ মসজিদ, শত শত মন্দির, কবরস্থান, শ্মশান, মাদ্রাসা সবকিছুতেই উজার করে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মক্কা চক্ষু হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজার ডাঃ আখতারুজ্জামান, ডাঃ হাবিব ইব্রাহিম, সিংড়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান, ইউএনও এম.এম সামিরুল ইসলাম, সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন প্রমূখ।
উল্লেখ্য সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতি ও মক্কা চক্ষু হাসপাতালের সহযোগিতায় আল বাসার ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বিনামূল্যে ৪ হাজার রোগীর চক্ষু চিকিৎসা ও ৫৫৫ জন রোগী ছানী অপারেশন করা হয়।
Good news
Good