০৩ মে, ২০২৫
ছবি: সাংবাদিকের ছবি
টাঙ্গাইলে মির্জাপুরে সংবাদকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়েরে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মির্জাপুর উপজেলা শাখার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা ।
জানা যায়,উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের সোনালীয়া চকবাজার এলাকার গিয়াস উদ্দিনের কলাবাগানে তারই চাচা আকবর আলীর ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে।এতে আকবর আলী গুরুতর আহত হলে আকবর আলীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।পরবর্তীতে গত ১৪ এপ্রিল সোমবার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে ওই এলাকায় একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ কিছু লোকজন আসামি গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেন এবং ওই সময় মুভি বাংলা টিভি'র মির্জাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব মির্জাপুর উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সাব্বির হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে ওখানে উপস্থিত হয়।পরে সাব্বির হোসেনের "আপন মানুষ " নামের একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের চিত্র সরাসরি তোলে ধরেন। সেই ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় গিয়াস উদ্দিনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেন।সেই মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ওই সংবাদকর্মী সাব্বির হোসেনের নামে।এঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পরেছেন গিয়াস উদ্দিন ।
এবিষয়ে গিয়াস উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,ওই মানববন্ধনটি ছিল পরিকল্পিত এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।তিনি বলেন,মারামারির ঘটনাটি আমরা চাচা-ভাতিজার মধ্যে। এক সময় এ সমস্যার সমাধানও হবে আমরা আবার একসাথে বসবাসও করবো।তিনি বলেন,সাব্বির আমার চাচাতো ভাই।দুঃখের বিষয় যারা আমার বাড়িতে ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করলো এবং সেটা যেভাবে করা হয়েছে তার কোন ভিডিও ফুটেজ সাব্বির ধারণ করেনি এবং সাব্বির আমার চাচাতো ভাই হয়েও তাঁর কোন সংবাদমাধ্যমে ওই ঘটনার কোন প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেনি।সাব্বির হোসেন বলেন,আমি সেই সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ওই অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি আমার একটি ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে সরাসরি দেখানোর চেষ্টা করি এবং আমি অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটকারীদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজও করেছি।
তারপরও আমার নামে মামলা কেন?এটা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়,আমি এ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।