৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ / রাজনীতি

কোটা আন্দোলনে পুলিশ এসল্ট মামলায় বিএনপি নেতাকে আসামী করায় আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রতিবাদ

০১ অগাস্ট, ২০২৪

ছবি: (বামে) আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,(ডানে) বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আতাউল মোস্তফা সোহেল


হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন তথা পুলিশ এসল্ট মামলায় বিএনপির এক নেতাসহ অজ্ঞাত ১৩০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

আসামী হওয়া বিএনপি ওই নেতার নাম এসএম আতাউল মস্তোফা সোহেল। তিনি সাবেক জেলা স্বেচ্চাসেবক দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান।

এ ঘটনায় উপজেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিএনপি নেতার পক্ষ নিয়ে  সহানুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন নিয়ে এক আওয়ামীলীগ নেতা।

এ নিয়ে চঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও নিজের অবস্থান থেকে সরেননি। তার নাম মো:মিজানুর রহমান। তিনি মাধবপুর উপজেলার বুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো:মিজানুর রহমান।তিনি সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর চাচাতো ভাই।

সে সময় মিটিংয়ে উপস্থিত থাকা আরো কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা তাকে সমর্থন দেন।তারা হলেন -উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো:আলাউদ্দিন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদ মোহাম্মদ এরশাদ আলীসহ আরো অনেকে।

বুধবার (৩১ জুলাই) আওয়ামীলীগ নেতা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা মিটিংয়ে বক্তব্যে বলেন, ‘অপরাধীর বিচার হোক। তবে কোনো ভাল ব্যক্তি যেন শাস্তি না পান, সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। 

মাধবপুরের কোটা আন্দোলনের জেরে পুলিশের ওপর হামলা ও বেআইনি সমাবেশের যে মামলা হয়েছে এর সঙ্গে সোহেল চেয়ারম্যান  কোনোভাবেই জড়িত নন। সেখানে তিনি উপস্তিতও ছিলেন না। তিনি আমাদের সহকর্মীও। মামলার দায় থেকে তার অব্যাহতি কামনা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘একজন ভালো মানুষকে হয়রানি কাম্য নয় । সুষ্ট তদন্ত হওয়া আবশ্যক।


মাধবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতারা বলছেন, ‘আমরাও চাই না কেউ হয়রানিতে পড়ুক।আমরা ওসি সাহেবকে অনুরোধ জানিয়েছি ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত যেন হয়।আসামী বনে হাওয়া আমাদের উপজেলা পরিষদের সদস্যের সাথে যেন কোন বাড়াবাড়ি না হয়।’


মামলার এজাহার ও সংস্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২৫ জুলাই উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির মহাসড়কের পাশে মাজার গেট এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের জেরে সমোবেত হয় হাজারো মানুষ।

এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ রাবার বুলেট  নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে মাধবপুর থানার পুলিশ সদস্যরা আহতও হন। এলাকার লোকজনও  আহত হন।

এ ঘটনায় মাধবপুর থানার এসআই মুকুল হোসেন বাদী হয়ে  ইউপি নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক বিএনপি নেতা এসএম আতাউল মস্তোফা সোহেলসহ ১২০০-১৩০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে পুলিশের ওপর হামলা ও বেআইনি সমাবেশের কারনে একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ তারণ্য ২৪  কে  জানান, আমাদের উপজেলায় কি শুরু হলো!একটি মামলা শেষ হতে না হতেই আরেকটি মামলা।

কিছু করলেই আমরা, কিছু না করলেও আমরা।আমরা আইন-শৃঙ্খলা মিটিয়ে এসব অভিযোগ জানিয়েছি ওসি সাহেব এবং ইউএনও স্যারের কাছে।আমরা সরকার ও জাতির কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশী।

Related Article