১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
ছবি: বেগুন গাছ ও প্রভাষক তারেকুল ইসলাম
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ধানগড়া গ্রামের কলেজ শিক্ষক মো: তারেকুল ইসলামের সখের বেগুনগাছে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক বেগুন ধরেছে। সরেজমিনে ধানগড়া গ্রামে গিয়ে এমনিই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। একটি মাত্র বেগুন গাছে আপন মনে ঝুলে আছে শতাধিক বেগুন।
জানা যায়-আজ থেকে প্রায় চৌদ্দ মাস আগে নিজ বাড়ির আঙিনায় গাছটি রোপণ করেছিলেন তারেকুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় বল্লা করোনেশন হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর বাংলা প্রভাষক। পেশায় একজন কলেজ শিক্ষক হলেও আপাদমস্তক কৃষক তিনি। শিক্ষকতার ফাঁকে দীর্ঘদিন যাবত জৈব কৃষি নিয়ে কাজ করছেন।
এমন অদ্ভুত বিশালাকার বেগুনগাছ কেমনে উৎপাদন করলেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ” বিষয়টি স্বাভাবিক, মোটেও অদ্ভুত কিছু নয়। নিয়মিত পরিচর্যা, চাহিদা মোতাবেক জৈব সার প্রয়োগ, প্রাকৃতিক উপায়ে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ দমন করেছি। বিনিময়ে সে বেড়ে উঠেছে এবং আশাতীত ফল দিচ্ছে।”
বাড়িটি ঘুরে দেখা যায় আরো নানা রকম সবজির সমাহার। বাড়ির চারপাশে গাছগাছালিতে পাখপাখালির কলকাকলি। এ বিষয়ে মো: তারেকুল ইসলাম বলেন, “মানুষের প্রয়োজনেই প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে। সৃষ্টিকর্তা তার সমগ্র সৃষ্টিকে একে-অপরের উপর নির্ভরশীল করে রেখেছেন। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষের উচিত এই শৃঙ্খলকে রক্ষা করা। রাসায়নিক সার-কীটনাশক আমাদের খাদ্যকে বিষে পরিণত করেছে। আমাদের জৈব কৃষিতে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।”
কৃষি তত্ত্ব সার্ভিস(এআইএস) এর বরাতে জানা যায়, প্রফেসর ড: মো: সদরূল আমিন (অব:) বলেন, বেগুন বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় সবজি। সারা বছরই এর চাষ করা যায়। নিরাপদ বেগুন চাষের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- জাত ও জাতের বৈশিষ্ট্য, বালাই দমন ও সার প্রয়োগ। বাংলাদেশে প্রায় শতাধিক জাতের বেগুন পাওয়া যায়। যেমন- পটলা, ঝুপি, তা
রাপুরী, কাজলা, ইসলামপুরী নয়নতারা, খটখটিয়া, শিংনাথ এসব স্থানীয়, স্থানীয় উন্নত, বারি ও হাইব্রিড জাত সারা দেশে সারা বছর চাষ হয়। উপযুক্ত পরিকল্পনা ও সচেতন হলে কৃষিতে সফলতা সহজ।
উল্লেখ্য, জৈবকৃষি নিয়ে নিয়মিত কাজ করার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ২০২০সালে শ্রীলঙ্কাং বহুজাতিক কোম্পানি ‘কুমারিকা’ কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন।