৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪
ছবি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের
কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেল এর অধিকাংশ কক্ষ অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্রসৈকত ও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পর্যটন নগরী কক্সবাজার। থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পর্যটক সমাগমের আশা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট গেস্টহাউস ও কটেজের মালিকরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ইতিমধ্যে আগামী শনিবার পর্যন্ত শহরের সবকটি হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট-গেস্টহাউসের অধিকাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
কক্সবাজার হোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, হোটেল রিসোর্ট গেস্টহাউস কটেজের কক্ষ অগ্রীম বুকিং হয়ে গেছে। কক্সবাজারে অন্তত দেড় লাখ পর্যটক রাত্রিযাপনের সক্ষমতা রয়েছে হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে। তবে মৌসুমের বিশেষ দিনে দেড় লক্ষের চাইতে বেশী পর্যটক রাত্রি যাপন করে। আশাকরি থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে কক্সবাজারে অন্তত দুই লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটবে।
পর্যটন ব্যবসায়ি সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কক্সবাজারে রাত্রিযাপন করবে এমন পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ ঝুকিপুর্ণ হওয়ায় কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। যার ফলে কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। অপরদিকে ৩১ ডিসেম্বরের পর সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকেরা আর রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ফলে সেন্টমার্টিনমুখী পর্যটকেরাও রাত্রিযাপন করবেন কক্সবাজারে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন জানান, সমুদ্রসৈকত ও উন্মুক্ত স্থানে কনসার্ট কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বেশ কয়েকটি টিম মাঠে থাকবে। শহরে যানজট কমানোর ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানান পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এবারও উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের আয়োজন বন্ধ রাখা হয়েছে । উচ্ছৃঙ্খল আচরণ থেকে বিরত থাকতে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর কয়েক স্তরের বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তল্লাশি ছাড়া কাউকে সৈকতে নামতে দেওয়া হবে না। শুধু নিরাপত্তা নয়, পর্যটকদের সমস্যা সমাধানের জন্য থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশের বিশেষ টিম।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সৈকতে আতশবাজি, পটকা ফুটানো নিষিদ্ধ। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে একাধিক তারকা হোটেল নিজেদের ইনডোরে কনসার্টের আয়োজন করছে। সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
Good news
Good