২৩ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পর্যটকের
কক্সবাজারে টানা ৩ দিনের ছুটি বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার ও শনিবার সরকারি সাপ্তাহিক ছুটি। রবিবার বড়দিন। তাই এই ৩ দিন বন্ধ থাকছে সরকারি-বেসরকারি দফতর। ইতিমধ্যে এই ৩ দিনে অধিক সংখ্যক হোটেল-মোটেল বুকিং বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারে ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা। এমিনতেও চলছে শীতের মৌসুম। তাই অন্যান্য সময়ের চেয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সহ স্থানীয় পর্যটন স্থানগুলোতে পর্যটক দেখা যাচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠছে গোটা সৈকত এলাকা। গত ২৪ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সে পায়রা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সেতু খুলে দেয়ার পর একটি মহল কক্সবাজারে পর্যটক কমবে বলে বিভিন্নভাবে মিথ্যা প্রচার চালায়। কিন্তু পর্যটন মৌসুম শুরু হতেই কক্সবাজারে পর্যটকে আসতে শুরু করেছে আগের মতই।
জানা যায়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো জেলার অন্যান্য স্থানগুলোও শোভা পাচ্ছে পর্যটকদের কাছে। পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত কক্সবাজার জেলায় দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দর্শন ছাড়াও অপরূপ দর্শনীয় স্থানের তালিকায় রয়েছে মাহাসিংদোগ্রী বৌদ্ধ মন্দির, ইছাখালী নদীর উপর স্থিত শহরের খুরুশকুল ইউনিয়নে মনোমুগ্ধকর চৌফলদন্ডী-খুরুশকুল সংযোগ সেতু, ইসলামপুর ইউনিয়নের ডুলাফকির মাজার, চিংড়ি রপ্তানী জোন, লবণ রপ্তানী জোন, ঈদগাঁও চরপাড়া রাবার ড্যাম, শহরের বার্মিজ মার্কেট, অজ্ঞমেধা ক্যং, হিলটপ সার্কিট হাউজ রোডের রাডার স্টেশন, বিজিবি ক্যাম্প স্থিত আজগরি মসজিদ, উখিয়া উপজেলার পাতাবাড়ী বৌদ্ধ বিহার, ইনানী সী-বীচ, কানা রাজার সুড়ঙ্গ, হিমছড়ির ঝর্না, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ সমূদ্র সৈকত, কুতুবদিয়ার বাতিঘর, মহেশখালী উপজেলার জেটি, আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া দ্বীপ, চকরিয়া উপজেলার কাকারার শাহওমর মাজার, বরইতলী ইউনিয়নের মনোমুগ্ধকর গোলাপ বাগান, মাতামুহুরী নদী, বরইতলী ইউনিয়নের মৎস্য খামার, ডুলাহাজারার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রামু উপজেলার রামকোট বৌদ্ধ বিহার, লামারপাড়া বৌদ্ধবিহার, রাবার বাগান, রামকোট মন্দির, টেকনাফ উপজেলার ঊনবিংশ শতাব্দীর ইতিহাসের প্রেমের নিদর্শন স্বরূপ, মাথিনের কূপ, সেন্টমাটিন প্রবালদ্বীপ, ছেঁড়াদ্বীপ, চকরিয়ার নিভৃতে নিসর্গ সহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। যেগুলো প্রতিনিয়ত কক্সবাজারে টানছে পর্যটকদের।
কক্সবাজারে বেড়াতে আসা অনেকে জানিয়েছেন, কক্সবাজারতো কক্সবাজারই। এর বিকল্প অন্য কোন এলাকা এর সাথে তুলনা হতে পারে না। বিশ্বের দীরর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে অবিরাম ছুটে চলা অন্য কোথাও নেই বললেই চলে। ভোরে সূর্যোদয় দেখা, দুপুরে সৈকতে গোসল করা, বিকালের সূর্যাস্ত উপভোগ করছেন পর্যটকরা। পুরো সৈকত ঘিরে পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন আপন মনে।
Good news
Good