০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
কাজল কান্তি দে,
ছবি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে “প্লাস্টিক দানব” এর
কক্সবাজার সৈকতে দাঁড়িয়ে আছে "প্লাস্টিকের দৈত্য দানব"। মানুষের ফেলে দেয়া প্লাস্টিক দিয়ে একদল স্বেচ্ছাসেবী এই দানব তৈরি করেছে।
প্লাস্টিকের কারণে দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এই তৈরী করা হয়েছে এই দানব। ঘিরে আছে উৎসুক জনতা। কেউ আবার এ সুযোগে তুলছে সেলফি। ফেসবুক সয়লাব হয়ে গেছে এ দানবের ছবি তে। তবে এটা আলস দৈত্য নয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নির্মিত সৈকতের সীগাল পয়েন্টে তৈরী করা হয়েছে সাগরের প্লাস্টিক বর্জ্যে তৈরি এ দানব ভাস্কর্য। যা প্রদর্শন করা হবে তিন মাস।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভাস্কর্যয়ের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জনাব মো: আ: মান্নান।
তিনি বলেন ” দূষনের হাত থেকে সমুদ্রকে বাঁচাতে এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সৈকতে আসা লাখো পযটকের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে এটি রাখবে ভূমিকা। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন “বর্তমান সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয় প্লাস্টিক দূষনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
সরকারের পলিসির সাথে সমন্বয় করে আমরা সারাদেশ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে ৫০০ মেট্রিক টন পরিত্যক্ত প্লাস্টিক রিসাইকেল করেছি। এতে করে প্লাস্টিক বর্জ্য ম্যানেজমেন্টে সরকারি খরচ যেমন কমবে তেমনি মানুষও জানতে পারবে কীভাবে রিসাইকেলের মাধ্যমে বর্জ্য কে সম্পদে রুপান্তর করা যায়।
দেশব্যাপী এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কক্সবাজারে আমরা জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ৬ মাস ব্যাপী প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে কাজ করে যাব।
প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেলের পাশাপাশি এখানে সচেতনতামূলক ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজনও করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ভাস্কর ও শিল্পী আবীর কর্মকার জানান, বিদ্যানন্দের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ প্লাস্টিক দানবটি তৈরি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের একদল শিল্পী।
এতে তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের পাশাপাশি ব্যবহার করেছেন কাঠ, পেরেক ও আঁটা (গাম) সহ আরও কয়েকটি উপকরণ। ভাস্কর্য শিল্পীদের দাবি, এটি ওসান প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি বিশ্বের সর্ব বৃহৎ “প্লাস্টিক দৈত্য”। এটি বানাতে প্রায় ৬ মেট্রিক টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়েছে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক মুহাম্মদ মুবারক জানান, গত প্রায় ৪ মাস ধরে কক্সবাজার, ইনানী ও টেকনাফের সমুদ্র সৈকত থেকে সংগ্রহ করেছে অন্তত ৮০ মেট্রক টন সামুদ্রিক প্লাস্টিক বর্জ্য। এসব বর্জ্যর একটা অংশ দিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নির্মাণ করেছেন এ ‘প্লাস্টিক দানব।
বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও স্থানীয়দের মাঝে প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভিন্নধর্মী এ উদ্যোগ। আর এটি পুরো পর্যটন মৌসুম সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এটাকে কেন্দ্র করে এখানে প্লাস্টিক দূষণবিরোধী সচেতনতামূলক পথনাটক ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
Good news
Good