৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
কাজল কান্তি দে, 
ছবি: অনলাইন ফাইল ছবি
কক্সবাজার জেলায় অনলাইনে ভূমির জমির খাজনা আদায় করতে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত নভেম্বর মাস থেকে এই সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকে। এতে কক্সবাজার জেলাব্যাপী হাজার হাজার ভূমির মালিক নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করতে পারছেন না। অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে না পেরে খাজনার দাখিলা না থাকায় জমি কেনা-বেচাও করতে পারছেন না অনেকে। এমনকি নামজারি ও জমাভাগের আবেদন পর্যন্ত করতে করা যাচ্ছে না। সার্ভার বিড়ম্বনায় অনলাইনে খাজনা দেয়া না গেলেও ম্যানুয়েল পদ্ধতিতেও খাজনা দাখিলা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেকে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি), কক্সবাজার সদর, রামু, চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, উখিয়া, কুতুবদিয়া কার্যালয়ের একাধিক তহসীলদারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি সার্ভারের উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ। গত ২৬ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সার্ভার উন্নয়নের জন্য সারাদেশে খাজনা আদায় বন্ধ রাখার নোটিশ দেয়া হয়। ওই সময় তারা জানান, ১ ডিসেম্বর সকাল ৯টার পর থেকে পরে ভূমি মালিকেরা খাজনা পরিশোধ করতে পারবেন। পরে একাধিকবার সার্ভার খুলে দেয়ার নোটিশ দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত সার্ভার ঠিক হয়নি। কখন ঠিক হবে সেটিও অনিশ্চিত। সার্ভার সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তহসীল অফিসের কোন হাত নেই।
খুরুশকুলের জলিল আহমদ নামের এক ব্যক্তি জানান, আমি মেয়ের বিয়ে দিব। তাই জমি বিক্রি করতে হচ্ছে। জমি বিক্রি করতে গেলে বলে খাজনা পরিশোধের দাখিলা লাগবে। জরুরি ভিত্তিতে খুরুশকুল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে তারা জানান, গত কয়েক মাস ধরে সার্ভার নষ্ট। তাই অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে পারবো না। এরপর অনেক বার যাওয়ার পরও সমস্যার সমাধান পায়নি।
উখিয়ার মোহাম্মদ হোছন নামের এক ভুক্তভোগী জানান, দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে পারছি না। এতে আমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে খাজনা না নিলেও অন্তত ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে খাজনা পরিশোধ করা গেলে আমার মতো অনেক ভুক্তভোগী খাজনার দাখিলা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারতো।
চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে যাওয়া ছিদ্দিক মিয়া বলেন, আমি ব্যবসায়ী মানুষ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জমির কাগজপত্র দিয়ে ব্যাংকে লোনের আবেদন করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ খাজনার দাখিলা আনতে বলে। আমি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে এই পর্যন্ত ১৫ বার আসছি। বার বার সময় দিচ্ছে। কিন্তু খাজনা পরিশোধের কোন সুরাহা দিচ্ছেন না।
কক্সবাজার জেলার একাধিক সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের কর্তা ব্যক্তিরা জানান, সিস্টেম ও সার্ভার আপগ্রেডশনের কারণে স্মার্ট ভূমি সেবা বন্ধ থাকায় প্রতিদিনই সেবা প্রার্থীদের ফিরে যেতে হচ্ছে। খাজনার দাখিলা ম্যানুয়ালি ও নামজারিসহ অন্যান্য সেবা দেওয়া যাচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা না থাকায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে খাজনার দাখিলা না পাওয়ার বিষয়টি সঠিক। তবে তিনি জানান, খাজনার দাখিলা সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব ভূমি অফিসের।
Good news
Good
