১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
ছবি: জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রস্তুতি সভা
কক্সবাজার জেলাব্যাপি শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের লালদিঘীরপাড়স্থ ব্রাহ্ম মন্দিরের শ্রী বিভূতিভূষণ সেন মিলনায়তনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি রতন দাশের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশের স ালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় জানানো হয়, এবছর জেলায় মোট ১৫০ প্রতিমা এবং ১৭১টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এসব পূজায় সরকারী বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদারের দাবী জানান পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। উক্ত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রধান উপদেষ্ঠা এডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে সনাতনী সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ের জন্য। শারদীয় দুর্গোৎসবকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে উদযাপনে দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এতে বক্তব্যে রাখেন-জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্ঠা দুলাল কান্তি চক্রবর্তী, সহ সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠু, স্বপন পাল নাজির, সুদাম দাশ, দীপক শর্মা দীপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন দাশ, সিনিয়র কর্মকর্তা ডাঃ চন্দন কান্তি দাশ, দীপ্তি শর্মা, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট বাপপী শর্মা, সাধারণ সম্পাদক বলরাম দাশ অনুপম,
পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জনি ধর, সুজন শর্মা জন, রামু উপজেলার সহ সভাপতি প্রকাশ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক স্বদীপ শর্মা, ঈদগাঁও উপজেলার সভাপতি মৃনাল আচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক জিকু দাশ সুব্রত, চকরিয়া উপজেলার সভাপতি তপন দাশ, সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ,
চকরিয়া পৌর সভাপতি টিটু বসাক, পেকুয়া উপজেলা সভাপতি সুমন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদকপ প্রনব শীল, কুতুবদিয়া উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক সমীর কান্তি দাশ, উখিয়া উপজেলা সভাপতি স্বপন শর্মা রনি, সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার রুপন দেওয়ানজী, টেকনাফ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ননী শীল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তা বিএনপি নেতা অপূর্ব পাল, জেলা যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক দোলন ধর, মিঠুন আচার্য্য, বলরাম পাল,অরূপ শর্মা, রুবেল মল্লিক, অন্তর দে, রাকভি বণিক, শিপ্লব দাশ শিবু প্রমুখ।
উক্ত সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, জেলা পুজা উদ্্যাপন পরিষদ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করা।
একই ভাবে প্রত্যোক উপজেলায়ও নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি, সনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, সকল রাজনৈতিক দল ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করা।
পূজা মন্ডপে ভক্তিমূলক ও ধর্মীয় গান ছাড়া অপ্রাসাঙ্গিক গান বাজনা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রাখা, প্রত্যেক মন্ডপে আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছসেবকটিম দিনে ও রাতে দায়িত্ব পালন করা, আযান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে বন্ধ, সকল পূজা মন্ডপে সিসিটিভি ক্যামরা স্থাপন, মন্ডপ ও বিসর্জন স্থলে পর্যাপ্ত আলোর (জেনারেটরসহ জরুরী বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং অগ্নিনির্বাপক) ব্যবস্থা রাখা,
যেসব ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় অস্থায়ী প্যান্ডেলে দুর্গাপ‚জা করা হবে সে ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত বিধি বিধান মেনে সকলের সাথে সমন্বয় করে পূজা আয়োজনের ব্যবস্থা করা, গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে যেকোন দুর্ঘটনার সংবাদ তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলা মনিটরিং সেলে জানানো,
প্রয়োজনে ৯৯৯ নাম্বারে যোগাযোগ করা, দেশী-বিদেশী গুরুত্বপূর্ণ কোন ব্যক্তি পূজা মন্ডপ পরিদর্শনের কোন সূচী জানামাত্র সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা, ইভটিজিং ও ছিনতাই ইত্যাদিতে কেউ জড়িত হলে আইন নিজের হাতে না নিয়ে থানায় অবহিত করা, উচ্চ শব্দের মাইক, পিএসেপ ও আতশবাজি ফটকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকা,
১৩ অক্টোবর যথানিয়মে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে এবং প্রতিমা নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় সর্বোচ্চ সতকর্তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং সন্ধ্যার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
Good news
Good