২৯ Jul, ২০২৩
ছবি: নিহত-নয় বছরের শিশু ফারিহা জান্নাত
কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলা মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থী ফারিহা জান্নাত (০৯) কে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (২৮জুলাই) বিকেলে উপজেলা হ্নীলা দারুস্সুন্নাহ মাদ্রাসার নির্দিষ্ট ২২ নং কক্ষে তাকে আটক করা হয়। আটক কিশোর হলেন,হ্নীলা দারুস্সুন্নাহ মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক মুফতি আলী আহমদের ছেলে ইরফান (১৭)। সম্পর্কে তারা মামা -ভাগ্নী। অভিযুক্ত ইরফান শিশু শিক্ষার্থীকে নাস্তার প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসার কক্ষে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়।
শুক্রবার (২৮জুলাই) রাত ১০ টার দিকে ঘটনা স্থল হ্নীলা দারুস্সুন্নাহ মাদ্রাসার মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ১৫ ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭জুলাই) সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ফারিহা জান্নাতকে তুলে দুঃসম্পর্কের মামা ইরফান নাস্তার প্রলোভন দেখিয়ে হ্নীলা দারুস্সুন্নাহ মাদ্রাসার তার বাবার ২২ নং কক্ষে নিয়ে যায়। পরে দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেঁধে তাঁকে ধর্ষন করা হয়। পরে ফারিহা জান্নাতের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে রশি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যা করে রাত ৩ টায় মাদ্রাসার ভেতরের টয়লেটের ড্রেনে ফেলে দেয়া হয়। র্যাব অধিনায়ক আরো বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে অপহরণের ঘটনা সাজান কিশোর। পরে মোবাইল করে নিহত শিশুর মা -বাবার কাছ থেকে ৫ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। তারা যেন বুঝতে না পারে এটি ধর্ষন নয় অপহরণ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আটক কিশোর। পরবর্তী তার দেখানো পথে হত্যার সময় ব্যবহার করা রশি ও কাপড় উদ্ধার করা হয়। আটকৃত কিশোরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭জুলাই) সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে ফারিহা জান্নাতকে তুলে নিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। তারপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাতে হঠাৎ অপহৃত শিশুর বাবার মোবাইল নম্বরে একটা অপরিচিত কল আসে। সে নম্বর থেকে মেয়ের মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। শুক্রবার বিকেলের দিকে তার মাদ্রাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
Good news
Good