১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
ছবি: কক্সবাজার বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতনের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন পালন
বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতনের উদ্যোগে বিদ্যা নিকেতন প্রাঙ্গনে ১২ জানুয়ারি (রবিবার) বিশ্ববিখ্যাত মনীষী ও প্রাচ্যের নবজাগরণের পুরোধা স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩তম জন্মদিন উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভার বিষয়বস্তু ছিল 'স্বামী বিবেকানন্দ ও বিশ্ব মানবতাবাদ'।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাছির উদ্দীন। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অজিত দাশ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম কক্সবাজারের সহসভাপতি ও বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতনের পরিচালক দিলীপ কুমার দাশ।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম কক্সবাজারের সহসভাপতি ও বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতন পরিচালনা পরিষদের সদস্য মানস দাশগুপ্ত, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম কক্সবাজারের সম্পাদক ও বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতন পরিচালনা পরিষদের সদস্য দুলাল চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম ও বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতনের সদস্য গোপাল কৃষ্ণ দাশ। রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রতন দাশ, কোষাধ্যক্ষ বিকাশ চন্দ্র দে, পূজা-অর্চনা বিষয়ক সম্পাদক বিপুল সেন, সদস্য চাঁন মোহন দাশ, ও স্বপন দাশ, বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক অনুপম দাশ।
বিদ্যা নিকেতনের শিক্ষার্থী সৈয়দ মোঃ ওয়ালিদ বিন খালেদ-এর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও মোনালী কর্মকার এর পবিত্র গীতা পাঠের পর বিদ্যা নিকেতনের সঙ্গীত শিক্ষিকা মহুয়া ঘোষ ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের যৌথ পরিবেশনায় উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হয়। বিদ্যা নিকেতনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপম দাশ- এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। বক্তব্য প্রদান করেন বিদ্যা নিকেতনের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অদ্রিতা দাশ ও প্রত্যয় পাল অরিন।
প্রধান অতিথি, মূখ্য আলোচক অথিতিবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, যিনি সত্যকে ধরে রেখেছেন তিনিই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধূলা ও বিনোদন আবশ্যক। তবে লেখাপড়াকেই প্রাধান্য দিতে হবে। এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা যুগে যুগে যেসব মহামানব পাঠিয়েছেন তারা ধর্মের গন্ডি পেরিয়ে মানব সেবায় ব্রতী ছিলেন। তাদের মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দ অন্যতম। তাঁর নির্দেশিত পথ আমাদের চলার পথের পাথেয়। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে গ্রহণ করলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। বর্তমানে যখন হিংসা-হানাহানি ও যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে শত শত লোকের প্রাণহানি ঘটছে ও স¤পদ বিনষ্ট হচ্ছে ঠিক তেমনি সময়ে আজ বিবেকানন্দের বিশ্ব মানবতার কথা একান্ত যুগোপযোগী। স্বামীজি ১৮৯৩ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে উদাত্ত কন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন- আজ থেকে ধর্মীয় পতাকায় লেখা হোক- “বিবাদ নয় সহায়তা, বিনাশ নয় পরস্পরের ভাব গ্রহণ, মত বিরোধ নয় সমন্বয় ও শান্তি।” তিনি পাশাপাশি দরিদ্র নারায়ণের সেবার মাধ্যমে ঈশ্বর সেবা করার কথা বলেন। আজকের এই বিশ্বে স্বামীজির কথাগুলো অনুধাবন করে চললে বিশ্বে শান্তি পুনঃ প্রতিষ্ঠা হতে পারে। স্বামী বিবেকানন্দ একাধারে একজন সমাজ সংস্কারক, দেশ প্রেমিক, মানবতাবাদী ও বীর সন্ন্যাসী ছিলেন। তাঁর জীবন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
পরিশেষে “স্বামী বিবেকানন্দ ও বিশ্বমানবতা” শীর্ষক বক্তব্য প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যা নিকেতনের সহকারী শিক্ষক মোঃ ওমর ফারুক। শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকমন্ডলী ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে স্বামীজির জন্মদিন অনুষ্ঠান বর্নাঢ্য রূপ ধারণ করে।
Good news
Good