০১ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: জনতা ব্যাংক লগো।
ফেনীতে জনতা ব্যাংকের কলেজ রোড শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৩১ অক্টোবর ফেনী সদর উপজেলার শহীদ মেজর সালাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক মজুমদার জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে নাজমুল হক বলেছেন ফেনী কলেজ রোড শাখার ব্যবস্থাপক সজল মজুমদার শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি,হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণ করছেন। বিশেষ করে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে হয়রানিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শাখাটিতে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক- কর্মচারীদের নিকট থেকে ব্যাংক অনুওোলন সনদ গ্রহণ করতে নগদ ৫০০-১০০০ টাকা আদায় করা হয়। যার কোন রশিদ দেয়া হয় না।
এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মাসিক পে -অর্ডার যোগে বেতনের সরকারি অংশ প্রাপ্ত হন। তারপরও ব্যবস্থাপক সরকারি আদেশ অমান্য করে নানা ছল-ছাতুরীর অজুহাতে টাকা কেটে নিচ্ছেন। অভিযোগকারী আরো জানান, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ওপর আয়কর প্রযোজ্য করে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের কোন আদেশ জারী হয়নি। তারপরও আয়করের অজুহাতে টাকা কেটে নিচ্ছেন। অক্টোবর মাসের বেতন ভাতার সরকারি অংশের এমপিও আসলে সেখান থেকেও আয়করের অজুহাতে টাকা কেটে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষক অন্যান্য খাত থেকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়ি ভাড়া আয় থেকে সরকারের নিয়মানুযায়ী আয়কর বিভাগে রিটার্ন দাখিল করে আয়কর পরিশোধ করে থাকেন। সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্জুন চন্দ্র কর্মকার, কালিদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক লিটন কুমার ভৌমিক ও ভূঁইয়ার হাট আলী আহমদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাখাল চন্দ্র পালের আয়কর রিটার্ন দাখিলের কপি, তারপরও কলেজ রোড জনতা ব্যাংক শাখায় আয়কর পুনরায় কেটে নেওয়ার কপি অভিযোগ পত্রের সাথে সংযুক্তি করে দাখিল করেছেন অভিযোগকারী।
জনতা ব্যাংক কলেজ রোড শাখার ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীর অন্যায় তথা অবৈধভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নিচ্ছেন বলে দাবি করেন অভিযোগকারী। ব্যবস্থাপক সজল মজুমদার যথেষ্ট অপ্রদর্শিত সম্পওি ও টাকার মালিক। নিজের আয়করের বিষয় ধামাচাপা দিতে আয়কর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট রাখতে সম্পূর্ণ বেআইনি কায়দায় শিক্ষকদের হয়রানি করে চলেছেন বলে দাবি করেন অভিযোগকারী।
অভিযোগকারী সবশেষে শিক্ষক, কর্মচারী ও অপরাপর অত্র শাখার গ্রাহকগণ যেভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অচিরেই শাখাটি গ্রাহকশূণ্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে বলে দাবি করেন।
Good news
Good