২৬ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: জিদান
ইতিহাসে তিনবার বিদেশি কোচের অধীনে খেলেছে ব্রাজিল। ৫৭ বছর পর দলটি আবার ছুটছে বিদেশি কোচের দিকে। সে তালিকায় আছেন জোসে মরিনিও, পেপ গার্দিওলা, জিদানের মতো তারকা কোচরা।
বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে কাতারে গিয়েছিল ব্রাজিল, কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
টানা দুইবারের এমন ব্যর্থতায় বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরের পরই পদ ছাড়েন সেলেকাওদের ৬১ বছর বয়সী কোচ লিওনার্দো তিতে। সেই থেকে ব্রাজিলের নতুন কোচ কে হচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
এ পর্যন্ত তিনবার বিদেশি কোচের অধীনে খেলেছে ব্রাজিল। ১৯৬৫ সালের পর কোনো বিদেশি কোচের অধীনে ছিল না লাতিন আমেরিকার দলটি। ৫৭ বছর পর সে ধারা থেকে বের হয়ে বিদেশি তারকা কোচ খোঁজা শুরু করেছে ব্রাজিল।
ফুটবল ফেডারেশন থেকে সম্ভাব্য কোনো তালিকা প্রকাশ করা না হলেও জোর গুঞ্জন রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ জিনেদিন জিদানকে নিয়ে। এর বাইরে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা ও রোমার কোচ জোসে মারিনিও আলোচনায় রয়েছেন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপে জানায়, ব্রাজিল যেমন বৈশিষ্ট্যের কোচ খুঁজছেন, জিদান তেমনই। তা ছাড়া বর্তমানে জিদানও তেমন কোনো কাজে নেই।
রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে নতুন কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হননি জিদান। যিনি টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছেন রিয়ালকে, তার অভিজ্ঞতা নিয়েও তেমন কিছু বলার থাকে না।
জিদানের সম্ভাবনা ছিল ফ্রান্সের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার, তবে বিশ্বকাপের পর ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম বহাল থাকছেন বলেই জিদানকে অন্য কোনো জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে মনে করছে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।
সেলেকাওদের সম্ভাব্য কোচ হিসেবে অন্য যাদের নিয়ে গুঞ্জন রয়েছেন, তারা হলেন আর্জেন্টিনার মার্সেলো গ্যালার্দো, মরিসিও পচেত্তিনো, জার্মান টমাস টুখেল, স্পেনের রবার্তো মার্টিনেজ ও রাফায়েল বেনিতেজ।