১৮ অগাস্ট, ২০২৪
ছবি: অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম
চাঁদপুরের মতলবে দক্ষিণ উপজেলায় বহরি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল সনদ ব্যাবহার করার অভিযোগ। এবিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে লিখিত অভিযোগ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছেন রাশিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী।
অভিযোগপত্র হতে জানাযায়, চলতি বছরের জুন মাসে মতলব দক্ষিণ উপজেলার বহরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং রফিকুল ইসলাম সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়। তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমানে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের একটি সার্টিফিকেট জমা দেন এবং বিদ্যালয়টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
অভিযোগপত্র হতে আরোও জানাযায়, রফিকুল ইসলামের দাখিল করা সনদের রোল নাম্বার এবং রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে অনলাইনে যাচাই করে দেখা যায়, শিক্ষার্থীর নাম মোঃ নুরে আলম পাটোয়ারী, পিতা মোঃ আবিদ আরী পাটোয়ারী, মাতা শাহানারা বেগম।
রফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থী ও তার পিতা মাতার পরিবর্তন করে সে স্থলে তার ও তার পিতা মাতার নাম এডিট করেন যার কোন অস্তিত্ব অনলাইনে নাই।
জাল সনদ ব্যাববহার করে বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়ে রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবি করা হয় শিক্ষাবোর্ডে। যার অনুলিপি জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে পাঠানো হয়।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করার অভিযোগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সহ সরকারি দপ্তরে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের কাছে বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার,আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী মুকুল জানান, কেউ যদি জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে ব্যবহার করে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তি যদি মামলা দায়ের করে তা যদি সত্য প্রমাণিত হয়,তাহলে আইনানুযায়ী তার দুই বছরের জেল খাটতে হবে।
এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলি আজমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বোর্ড সাথে সাথে তার সভাপতির পদ বাতিল করে দিবে ।
Good news
Good