৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
আন্তর্জাতিক

ইউরোপের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা তুরষ্কের

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ছবি: রিসেফ তাইয়েব এরদোগান

তুরষ্কের নিজ দেশীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রয়োজনে ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা  দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছে তুরস্ক। তবে এরদোগান বলেছেন, প্রয়োজনে তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যাওয়ার আগে এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ইইউ তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। এসব বিষয় আমরা মূল্যায়ন করবো এবং প্রয়োজনে ইইউ থেকে আলাদাও হতে পারি।

তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কর্তৃক গৃহীত সাম্প্রতিক প্রতিবেদন সম্পর্কে একটি প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন, যেখানে বলা হয়েছে— বর্তমান পরিস্থিতিতে যোগদান প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করা যাবে না এবং ইইউ—তুর্কি সম্পর্কের জন্য একটি সমান্তরাল এবং বাস্তবসম্মত কাঠামো অন্বেষণ করার জন্য ইইউকে আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছিল, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিবেদনে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ ও কুসংস্কার’ রয়েছে। এতে দেশটির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের বিষয়ে ‘অগভীর ও অদূরদর্শী’ দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে।

সম্প্রতি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে তুরস্ক বিষয়ক একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুরস্কের সমালোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউরোপীয় মূল্যবোধ থেকে ক্রমেই দূরে সরছে বলেও উল্লেখ করা হয় সেই প্রতিবেদনে।

গত জুলাইয়ে লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো সম্মেলনের জন্য দেশ ছাড়ার আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তিনি সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তি সমর্থন করবেন, যদি আঙ্কারাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়।

এরদোগান বলেন, ন্যাটোর প্রায় সব দেশই ইইউয়ের সদস্য। আর তুরস্কের ইইউ সদস্য পদে যে নেতারা বাধা দিয়েছিলেন, তারাই চাচ্ছেন আঙ্কারা যেন সুইডেনের ন্যাটো প্রার্থিতায় সমর্থন দেয়। কিন্তু আমি বাস্তবতার ওপর জোর দিতে চাই। তুরস্ক ৫০ বছর ধরে ইইউতে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করছে।

১৯৮৭ সালে তুরস্ক প্রথম ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, যা ইইউয়ের পূর্বসূরি। দেশটি ১৯৯৯ সালে ইইউয়ের প্রার্থী দেশ হয় এবং ২০০৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটের সঙ্গে সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। কিন্তু তুরস্কের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ইউরোপীয় উদ্বেগের কারণে ২০১৬ সালে সে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়।

 সূত্র: রয়টার্স, তথ্যসংগ্রহ: আব্দুল হালিম 

Related Article