২৪ মে, ২০২৩
ছবি: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নিষিদ্ধ হতে পারে, বুধবার দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ একথা বলেছেন।
এই মাসের শুরুর দিকে ইমরান খান দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। পরে আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
পাকিস্তানের এই রাজনীতিবিদ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বানোয়াট। তিনি শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন, যারা পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে দেশটিকে সরাসরি শাসন করেছে বা দেশটির ইতিহাস জুড়ে বেসামরিক সরকারগুলির উপর প্রভাব বিস্তার করেছে।
"পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে, পিটিআই রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে – যা আগে কখনও ঘটেনি। এটা সহ্য করা যায় না।” খাজা আসিফ সাংবাদিকদের বলেছেন।
এবিষয়ে এখনো পর্যন্ত পিটিআই-এর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গত সপ্তাহে ইমরান খান বলেছিলেন যে, অস্থিরতার মধ্যে তার জীবন বিপদে পড়তে পারে।
তিনি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন এবং গত বছর একটি হত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে যান। এই সপ্তাহে ইসলামাবাদে তিনি বলেন, তিনি দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তার হতে পারেন।
সোমবার বিবিসি রেডিও ৪-এর এক প্রোগ্রামে তিনি বলেন, "একটি হত্যার চেষ্টা হয়েছে - আমি ভাগ্যবান যে বেঁচে থাকতে পেরেছি।"
“হ্যাঁ, আমার জীবনের বিপদ আছে। তবে আমাদের জন্য আরও বেশি উদ্বেগের বিষয় হল এই মুহূর্তে আমাদের গণতন্ত্র বিপদাপন্ন ।”
ইমরান খান বলেছিলেন যে তাকে "সেনারা অপহরণ করেছে"। তিনি আরও বলেন, “আমার সাথে বর্বর আচরণ করা হয়েছে। আমার চারপাশের লোকজনকে মারধর করা হয়, আমাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়।”
উল্লেখ্য , ৯ মে আদালতে হাজির হওয়ার পর তাকে আকস্মিক গ্রেফতার করা হয়। ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পর দেশজুড়ে মারাত্মক বিক্ষোভ শুরু হয়, জনগন পুলিশ ও সেনা সদস্যদের উপর আক্রমণ করে এবং যানবাহন ও রাষ্ট্রীয় ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। জনগন কিছু সামরিক স্থাপনায়ও আগুন দেয়। সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয় এবং কর্তৃপক্ষ চার হাজার জনকে গ্রেপ্তার করে।
সংবাদ সূত্রঃ রয়টার্স