০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
ছবি: প্রতিকী
হ্যাকিং কি ? হ্যাকিং কত প্রকার ও কি কি ?
আধুনিক যুগে কম্পিউটার ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে যার ফলে গোটা বিশ্ব আস্তে আস্তে ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমরা যত বেশি অনলাইন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছি ততবেশি কিন্তু সাইবার ক্রাইম (cyber crime) ও বেড়ে চলছে। সাইবারক্রাইম হচ্ছে অনলাইনে সংগঠিত অপরাধ। তো এই সাইবার অপরাধমূলক কাজ গুলো পরিচালিত হয় হ্যাকিংয়ের (hacking) মাধ্যমে । এ হ্যাকিংয়ের জন্য আমাদের কম্পিউটার স্মার্টফোন ব্যাংক একাউন্ট নিরাপদ নয়।
আপনি অনেকবার শুনেছেন ফেসবুক আইডি হ্যাক, টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক, ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক, ব্যাংকের ডেটা চুরি ইত্যাদি।
তো আজকের এই আর্টিকেলের আমরা আলোচনা করব হেকিং কি? হ্যাকিং কি ভাবে শিখব ? কম্পিউটার হ্যাকিং কি? মোবাইল হ্যাকিং কি? হ্যাকিং থেকে আমরা কিভাবে বের হয়ে আসব ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করব । আপনি যদি হ্যাকিং সম্পর্কে কিছু না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চলুন তাহলে বেশি কথা না বলে হ্যাকিং বিষয় টি জেনে নিই।
হ্যাকিং কত প্রকার ও কি কি ?
হ্যাকিং প্রধানত ৭ প্রকার । নিচে বিস্তারিত হ্যাকিং এর প্রকারভেদ গুলো আলোচনা করা হলো।
১. ওয়েবসাইট হ্যাকিং (Website Hacking)
নাম শুনে হয়ত বুঝতে পারছেন ওয়েবসাইট হ্যাকিং মানে ওয়েবসাইট হ্যাক করা। হ্যাকাররা ওয়েবসাইট টি হ্যাক করে ওয়েবসাইটটি পুরোপুরি নিজের কন্ট্রোলে নিয়ে নেয় এবং যা খুশি তাই পোস্ট করতে পারে এবং আপনার মালিকানা পরিবর্তন করতে পারে।
২. নেটওয়ার্ক হ্যাকিং (Network Hacking)
নেটওয়ার্ক হ্যাকিং মানে হচ্ছে নেটওয়ার্ক হ্যাক করা। উদাহরণস্বরূপ কোন কোম্পানি বা সরকারি অফিসের অনেকগুলো কম্পিউটার থাকে প্রত্যেকটি কম্পিউটার একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে ওই local area network
কে হ্যাক করা হচ্ছে নেটওয়ার্কিং হ্যাকিং। হ্যাকিং এর ফলে নেটওয়ার্ক এর উপরে হ্যাকাররা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করে। Network হ্যাক করার জন্য মূলত বিশেষ ধরনের টুল ব্যবহার করা হয়।
৩. এথিক্যাল হ্যাকিং (Ethical Hacking)
কোন কোম্পানির সিস্টেম সিকিউরিটি গুলোকে আরো secure করার জন্য মূলত হ্যাকাররা hack করে থাকে আর এটি পুরোপুরি legal । কম্পিউটার সিস্টেমের কোন জায়গায় গন্ডগোল আছে কিনা না বা কোন সমস্যা আছে কিনা এটি দেখাশোনার কাজ হল ethical হ্যাকারদের কারণ কোন Black Hat Hackers যেনো কম্পিউটার সিস্টেমকে hack না করতে পারে।
৪. পাসওয়ার্ড হ্যাকিং (Password Hacking) বিশেষ ধরনের টুলস এর সাহায্যে সিস্টেম এর পাসওয়ার্ড খুঁজে বের করা হলো পাসওয়ার্ড হ্যাকিং। হ্যাকাররা চাইলে সেই পাসওয়ার্ডটি পরিবর্তন করে নিজের ইচ্ছামত পাসওয়ার্ড দিয়ে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৫. ই-মেইল হ্যাকিং (Email Hacking)
আপনারা অনেকেই শুনে থাকেন যে ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক তো এই কাজটি মূলত ই-মেইল হ্যাকিং এর মাধ্যমে করে থাকে। কারোর ই-মেইল হ্যাক করে মেইল চুরি করা বা নষ্ট করে দেওয়াই হচ্ছে ই-মেইল হ্যাকিং।
হ্যাকাররা ই-মেইল হ্যাক করে ওই ই-মেইল পুরোপুরি নিজের কন্ট্রোলে করে নেয় ই-মেইলের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে দেন যাতে কেউ access করতে না পারে।
৬. মোবাইল হ্যাকিং (Mobile Hacking)
কারোর মোবাইল হ্যাক করাই হচ্ছে মোবাইল হ্যাকিং। হ্যাকাররা মোবাইল হ্যাক করে ব্যক্তিগত তথ্য বা ডেটা হাতিয়ে নেয় ।
অনেক সময় হ্যাকাররা ই-মেইল বা মেসেজে লিংক পাঠায় সেই লিংকে ক্লিক করলেই কিন্তু আপনার মোবাইলের access হ্যাকাররা নিয়ে নেয়।
৭. কম্পিউটার হ্যাকিং (Computer Hacking) এই ধরনের হ্যাকিং এর অর্থ হল হ্যাকাররা কম্পিউটার সিস্টেমকে hack করে কম্পিউটারের সমস্ত ডেটা চুরি করে নেয় বা নষ্ট করে দেয়। হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের ম্যালওয়্যার , ভাইরাসের মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেমকে করে।
লেখক পরিচিতি
মোঃ আল মামুন
প্রযুক্তি গবেষক
টাঙ্গাইল