১৮ অক্টোবর, ২০২২
ছবি: হরিণাকুণ্ডুতে কেক কেটে শেখ রাসেল দিবস পালিত
১৯৬৪ সালের উত্তাল সময়। বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের জন্মদিন আঠারই অক্টোবর । ৩২ নম্বর বঙ্গভবনেই জন্ম শেখ রাসেলের। ভাই বোনদের সবার ছোট। তাই ছিলেন ভিষন আদরের। ভবনটিতে সব সময় মেতে থাকতো রাসেলের আদুরে ছুটা-ছুটিতে। চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র শেখ রাসেল।পড়তেন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে। কোনও রুপ প্রটোকল ছাড়াই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতেন।নেত্রীত্বে গুনে সমবয়সীদের মাঝে সবার ছিল প্রিয়। প্যারেড করতেন খেলার সাথীদের নিয়ে। বঙ্গবন্ধু প্রায়ই সময় কাছে রাখতেন।রাষ্ট্রীয় সফরের সময়তেও সাথে থাকতেন শেখ রাসেল। কিন্তু বেশীদিন আর থাকতে পারেনি রাসেল। তার জীবনে নেমে আসে আঁধার রাত্রি । ভয়াবহ সেই লোমহর্ষক পচাত্তরের কাল রাতে শিশু রাসেল মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিলেন। রক্তাক্ত মাকে দেখার পর যখন তার বুবুকে দেখার কথা বলে ঠিক তখনই, ঘাতকের বুলেট ঝাঝরা করে দেয় শিশু রাসেলের বুক। যদি আজ বেচে থাকতেন তাহলে বিষন্ন এক ব্যক্তিত্ত্ব নিয়ে বেড়ে উঠতেন বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ রাসেল। সেই রাতের নির্মমতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।পচাত্তরের কাল রাতে বত্রিশ নম্বরে যখন হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছিলো তখন হায়নার দল ছোট্ট রাসেলকেও বাদ দেয় নি। বেঁচে থাকলে শেখ রাসেলও হতে পারতো আজকের উন্নয়নের মহা কাণ্ডারী।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রশাসন ও আইসিটি অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজনে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জাতির পিতা শেখ মুজুবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেলের জন্মদিন পালনে প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন র্যালি, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিশেষ মুনাজাতের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির হোসাইন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা, পৌর মেয়র মোঃ ফারুক হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) তানভির হোসেন, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মফিজুর রহমান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সী ফিরোজা সুলতানা,কৃষি কর্মকর্তা হাফিজ হাসান, সমাজ সেবা কর্মকর্তা শিউলী রাণী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেশমা খাতুন, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন তুষার,জাহিদুল ইসলাম বাবু,মঞ্জুর রাশেদ, আবুল কালাম আজাদ,বসির আহম্মেদ,শরাফত দৌলা ঝন্টু,কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যালয়ের একাডেমীক সুপার ভাইজার মাছুরা খাতুন,বিভিন্ন সরকারি বে-সরকারী কর্মকর্তা স্কুল,কলেজের প্রধান, জনপ্রতিনিধি,ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ, সহ আরও অনেকেই।