৩০ এপ্রিল ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
আইন-আদালত

হরিণাকুণ্ডুতে ব্যবসায়ীকে মারধর ও ফ্যাক্টরি ভাংচুর

০৮ Jul, ২০২৩

সাইফুর রহমান বাদল,
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

ছবি: ভাংচুরকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি

ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবানীপুর বাজারে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সবুজ আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লেদ মেশিনের কারখানা ও বরফ ফ্যাক্টরি ভাঙচুর, নগদ অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ভবানীপুর বাজার কমিটির সভাপতি সরোয়ার হোসেন ছরুর নেতৃত্বে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটে অংশ নেন ঠান্ডু মিয়া, তারেক ও মিঠু নামের তিনজন। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে আর আতংকে দিন কাটাচ্ছে সবুজের পরিবারের বাকী সদস্যরা।

ভবানীপুর বরফকল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভাংচুরের বিষয়ে ভুক্তভোগী সবুজ হোসেন জানান,আমার দাদা মৃত্যু কাবিল উদ্দীন মিয়া। আমার বাবা হারুন অর রশিদ। বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের পারিবারিক জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দৃষ্ঠ সময়ের পূর্বেই আমার দুই চাচা ও তার ছেলেরা বারবার হুমকি ধামকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছে। আমরা সবাই কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার বাসিন্দা। আমাদের বেশ কিছু জায়গা হরিণাকুন্ডু থানার ভবানীপুর বাজারে আছে। দাদার সম্পত্তির অংশীদার হিসেবে একই জমিতে  আমার বাবা ভবানীপুর বাজারের রাস্তার পাশে একটি বরফ কল ও লেদ মেশিনের ব্যবসা করে আসছে।  হামলাকারী আমাদের সম্পর্কীত চাচা ও চাচাতো ভাই। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আমি আমাদের দোকানে বসে ছিলাম কিছু বুঝে উঠার আগেই ওরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতর্কিত হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমার দোকানের ড্রয়ার থেকে নগত ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ওরা। আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর,বকাবকি করে বলে আজকের মধ্যে এই জায়গা খালি করবি এই জমির অনেক দাম না হলে তোকে ও তোর বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলবো। এই ঘটনার পরে আমি হরিনাকুন্ডু সদর হাসপাতালে ভর্তি হই এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।

ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে ভবানীপুর বাজার কমিটির সভাপতি সরোয়ার হোসেন ছরুর কাছে জানতে চাইলে সে জানান, হারুন অর রশিদ আমার সম্পর্কে ভাই হয়।
তার সঙ্গে আমার পারিবারিক জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ আছে। আমি তাদের জায়গা জমি সঠিকভাবে বন্টন করে নিতে বলেছি কিন্তু তারা নিতে চাই না। সেজন্য আমার অন্য ভাইয়েরা তাঁর উপর রাগ করে তার ছেলে সবুজের উপর হালকা-পাতলা কিছু মারধর করে ও দোকানের মালপত্র বাইরে ফেলে দেয় কিন্তু কোনও টাকা পঁয়সা নেওয়া বা ভাংচুর করে নাই।

অপরদিকে অভিযুক্ত ঠাণ্ডু মিয়া জানান, আমরা দূর্বল বলে ওরা আমাকে ভিটে উচ্ছেদ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।তবে বিচারক উপরে একজন আছে। ভবানীপুর ব্যবসার প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ আবু আজিফ এঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাহেরহুদা ইউনিয়নের ভবানীপুর বাজারে এক ব্যবসায়ীর বরফ কল ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে বলে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছে।আমরা অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা সম্পূর্ণ অন্যায়।

Related Article