১৭ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
অর্থনীতি ও বাণিজ্য / সারাদেশ

হরিণাকুন্ডুর বাজারগুলোতে মানছেনা সরকারি মূল্য

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাইফুর রহমান বাদল,
হরিণাকুণ্ডু উপজেলা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি

ছবি: বাজারে বিক্রেতার ছবি

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে মানছে না কেউ সরকারী নির্ধারিত দাম। যেখানে সরকার প্রতিটি ডিম ১২ টাকা, আলুর দাম প্রতি কেজি ৩৫/৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজের দাম ৬৪/৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এই সব পণ্য সেই দামে মিলছে না।এতে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। হরিণাকুণ্ডূ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
 

এদিকে ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের জানান, সরকার বেঁধে দেওয়া মূল্যে ভোগ্যপণ্য কেনাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। পাশের ঝিনাইদহ-আলমডাঙ্গার বাজার আড়তে দাম বেশী থাকায় আমরা কম দামে বিক্রয় করতে পারছি না। দাম কম হোক আর বেশী হোক আমাদের তো বিক্রয় করতেই হবে,তা না হলে আমরা সংসার চালাবো কিভাবে? পাইকারি বাজার থেকে বেশী দামে পণ্য কিনে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব নয় বলেও জানান এই সব বিক্রেতারা।
 

সরকার আলুর কেজি ৩৫/৩৬ টাকা,একটি ডিম ১২ টাকা এবং পেঁয়াজের কেজি ৬৪/৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এসব পণ্য ঐ দামে পাওয়া যাচ্ছে না।

এখানে আলুর কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা,পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা হলেও ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালীতে। ক্রেতারা বলছে প্রতিদিনেই বাজার ঊর্ধগতি হচ্ছে যে ভাবে জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে এতে করে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের পণ্যসামগ্রী ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। 

মাছ,তেল থেকে সবজি পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এহেন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বেশীরভাগ মানুষেরই অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত হতে পারে।
 

এদিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে রড সিমেন্ট বিক্রেতা মৎস ও পশু খাদ্য বিক্রেতা সহ নানা ধরণের অভিযান পরিচালনা করে আসছে। 

হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঝিনাইদহের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের সাংবাদিকদের জানান,বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর জেলা উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছি। 

আমরা উৎপাদন,পায়কারী, খুচরা ও মজুত পরিস্থিতি পর্যাবেক্ষণ এবং এসব পর্যায়ে নির্ধারিত দাম কার্যকরের বিষয়ে কঠোর তৎপর আছি । 

তাছাড়াও আমাদের নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে খুব শিগ্রহী হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান এই শীর্ষ কর্মকর্তা।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good