১৯ মে, ২০২৫
ছবি: দাবীতে অংশগ্রহণ বিক্ষোভকারীরা
মাননীয় শ্রম উপদেষ্টার সাথে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক সম্পর্কিত।
আজ ১৯ মে ২০২৫, পূর্বনির্ধারিত সময় সূচি অনুযায়ী দুপুর ১২টা থেকে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত গ্রামীণফোনের সাবেক ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াত হোসেন (অব.) এবং মন্ত্রণালয়ের দুইজন সচিবের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে মিলিত হন। এরমধ্যে ৪০ মিনিটের মত মূল আলোচনা হয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আবু সাদাত মোঃ শোয়েব। তার সঙ্গে ছিলেন এস. এম. কামরুল হাসান, আদিবা জেরিন চৌধুরী, আজহারুল ইসলাম ও মোঃ সাইদুর রহমান।
বৈঠকে আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে মাননীয় উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করি।
গ্রামীণফোন ও এর মূল অংশীদার টেলিনরের বিরুদ্ধে শ্রম আইন সম্পর্কিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে—বিশেষত ২০১০-২০১২ সালের ৫% বকেয়া জরিমানা এখনও পরিশোধ না করা, অতীতের কিছু গণছাঁটাই, এবং দীর্ঘদিন ধরে চলমান কিছু প্রক্রিয়াগত জটিলতার উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। এসব বিষয় বহু সাবেক কর্মীর জন্য আর্থিক ও মানবিক সংকট তৈরি করেছে—এমন বাস্তবতাও আমরা তুলে ধরি। এছাড়া আমরা অবহিত করি যে, সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপন (SRO No. ৩৩৬- আইন/২০১০) কার্যকর হওয়ার পরও এই অর্থ এখনো পরিশোধ করা হয়নি। যদিও সংশ্লিষ্ট কোম্পানি একটি রিট মামলা দায়ের করেছিল, তারা ৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে সেই রিট প্রত্যাহার করে নেয়, যা আইনানুসারে এক মাসের মধ্যে গ্রামীণফোন শ্রমিকদের পাওনা দিতে বাধ্য। তারপরও অর্থ পরিশোধ না হওয়ায়, আমরা সরকারের সক্রিয় হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করি।
এছাড়া গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ প্রাক্তন শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের যে তান্ডব লীলা- হামলা, মামলা, জেল, জুলুম বিষয়ে বলতে গেলেই তিনি বলেন, আমি আপনাদের সব বিষয় জানি, আপনাদের নিউজ, ভিডিও আমি দেখি; বলেই তিনি বলেন এসব দেখে তো আমি ঠিকমত ঘুমাতে পারি না।
এই আলোচনার পরে আমরা আবারও স্পষ্ট করে বলি, আমাদের উপর সকল নিপীড়ন ও ক্ষতি ব্যতিরেকে এখন শুধুই ৫% বিলম্ব বকেয়া পাওনার বিষয়টি সমাধানের জন্যই আপনার দ্বারস্থ হয়েছি।
মাননীয় উপদেষ্টা ধৈর্য ও আন্তরিকতার সাথে আমাদের বক্তব্য শোনেন এবং এ বিষয়ে দ্রুত অগ্রগতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের নির্দেশনা প্রদান করেন, যেখানে সরকার, গ্রামীণফোন ও প্রাক্তন কর্মীদের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সচিবদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মৌখিক নির্দেশ দেন।
আমরা এই গঠনমূলক বৈঠকের জন্য সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এবং আশাবাদী যে, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।