১০ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: সরিষার হলুদ ফুলে রঙিন কৃষকের মাঠ।
গাইবান্ধার মাঠজুড়ে নজর কাড়ছে সরিষা ফুল। এসব হলুদ ফুলে রঙিন হয়ে উঠেছে কৃষকের ফসলি মাঠ। সম্প্রতি মাঠে-ময়দানে হলুদে হলুদে ভরে গেছে। বর্ণিল হয়ে গেছে চারপাশ। এরই মধ্যে মৌমাছির গুণগুণ শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে সরিষার ক্ষেত।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ি উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নয়নাভিরাম সরিষা ফুলের দৃশ্য। প্রকৃতি যেন সেজেছে আপন মহিমায়।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, গেল বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবারে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি চাষ করা হয়েছে নানান জাতের সরিষা। স্বল্প পুঁজি দিয়েই সরিষা চাষ করা যায়। আর একটু পরিচর্যা করলেই ভালো মুনাফা পাওয়া সম্ভব। এই আবাদ করে গাইবান্ধায় অনেকেই নিজেদের ভাগ্য বদল করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এ বছরে সারের সংকটে আশানুরূপ ফলন পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।
জামুডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সবিনয় বলেন, বীজ বোনা থেকে পাকা পর্যন্ত ৭০-৮০ দিন সময় লাগে। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি সরিষা প্রায় ৯৫০ কেজি উৎপাদন করা সম্ভব। এ ফসলে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হয়।
ফুলছড়ির কৃষক মেনহাজ মিয়া জানান, গত বছরে ৮ হাজার টাকা খরচ করে একবিঘা জমিতে সরিষা চাষ করে ২০ হাজার টাকার বিক্রি করা হয়। এবারে দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছেন। আশানুরূপ ফলন হলে লাভজনক হওয়া সম্ভব।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলাল উদ্দিন জানান, চলতি বছরে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার হেক্টর অর্জন হয়েছে। আর কিছু দিনপর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়তে পারে বলে আশাবাদী তিনি।
বেলাল উদ্দিন আরও জানান, বর্তমানের সারের কোনো সংকট নেই। ইতোমধ্যে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদের লাভবান করতে সর্বাত্নক চেষ্টা করা হচ্ছে।