০১ নভেম্বর, ২০২২
ছবি: ফয়জার রহমানের পোড়া চাচায়ের ঘ্রাণে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা চা প্রেমীরা
সচরাচর চা পানে তেমন আলোচনা না হলেও গাইবান্ধায় সাড়া ফেলেছে ফয়জার রহমানের পোড়া চা। বিশেষ প্রক্রিয়ায় মাটির কাপ পুড়িয়ে তাতে দুধ চিনি মিশিয়ে তৈরি হয় এই চা।
শুধু স্থানীয়রাই নয় দূর-দূরান্ত থেকে চা প্রেমীরা ছুটে আসছেন এই চায়ের স্বাদ নিতে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। নিজস্ব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় সুফল পাচ্ছেন তিনি।
সরেজমিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মধ্যরাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের ইটাপীর মাজার এলাকায় অবস্থিত চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানের ভিতরে এক পাশে বিশেষ প্রক্রিয়ায় একটি থালার ওপর সারিবদ্ধভাবে মাটির তৈরি কাপগুলো আগুন দিয়ে পুড়ানো হচ্ছে। অন্য দিকে একটি চুলার ওপর একটি পাতিলে ২০ লিটার দুধ আর চিনি দিয়ে তৈরি করছেন চা। সেই তৈরি চা আগুনে পোড়া কাপে ঢেলে তৈরি করছেন পোড়া চা। দোকানের বাহিরে বসানো টঙে চা প্রেমীদের কাছে দিচ্ছেন এ পোড়া চা। কেউ চা খাচ্ছেন, আবার কেউ পোড়া চায়ের অপেক্ষা করছেন।
চা তৈরির মাঝে কথা হয় ফয়জার রহমানের সাথে। তিনি বলে ৩৭ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় চায়ের হোটেল করেই সংসার চালান তিনি। দেড় বছর আগে নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করেন বিশেষ পোড়া চা। প্রতিদিন দুই মন পর্যন্ত দুধের চা বিক্রি করলেও ছুটির দিনে চায়ের চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে দুধ ও বেশি লাগে।
প্রতিটি পোড়া চা ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করেন। চায়ের পাশাপাশি তিনি হোটেলে অন্য খাদ্য সামগ্রীও বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৭০০-৮০০ টি চা বিক্রি করে মাসে ৩০ হাজারেও বেশি টাকা আয় হয় তার।
চা খেতে আসা খলিলুর রহমান বলেন, পোড়া চায়ের গল্প শুনে তা দেখতে ও খেতে ইচ্ছা জাগে মনে। পরে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে এখানে আসলাম। ভিন্ন নামের এই চা অন্য চায়ের চেয়ে অনেক সুস্বাদু। জীবনে প্রথম পোড়া চা খাচ্ছি।
শাহিন নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোড়া চায়ের খ্যাতি আর স্বাদের কথা শুনছি। ছুটির দিনে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে চা খেতে আসলাম। পড়ন্ত বিকেলে পরিবারের সাথে চায়ের আড্ডা খুবই ভালো লাগছে।
ইমরান নামে এক যুবক বলেন, জীবনের প্রথম পোড়া চা খাচ্ছি। সচরাচর আমরা বিভিন্ন সময় হাট বাজারে চা খেয়ে থাকি। তবে অন্য চা থেকে এটির স্বাদ আসলেই একটু ভিন্ন।
Good news
Good