১৭ Jun ২০২৫
হোম স্বাস্থ্য সারাদেশ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও বাণিজ্য খেলাধুলা বিনোদন আন্তর্জাতিক ধর্ম ও জীবন লাইফ স্টাইল শিক্ষা প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান পরিবেশ চাকরি বা ক্যারিয়ার মতামত আইন-আদালত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশেষ সংবাদ অপরাধ সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বকাপ ফুটবল
সারাদেশ

গাইবান্ধায় ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

মো:তৌহিদুল ইসলাম,
পলাশবাড়ী উপজেলা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

ছবি: অবহেলিত এক ভাঙা কাঠের সাঁকো।

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর-রসুলপুর সীমান্তবর্তী চান্দের বাজার এলাকার ঘাঘট নদের উত্তরে রসুলপুর ও দক্ষিণে দামোরপুর ইউনিয়ন। দুই সীমানার মাঝামাঝি দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘাঘট নদীর ইব্রা মন্ডলের ঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত সাঁকো পারাপার হচ্ছে প্রায় ২০ গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সর্বস্তরের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা অবহেলিত এক ভাঙা কাঠের সাঁকো। এই ঘাট দিয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা লাভের আশায় আলোকিত হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা পথচারীরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। আর পরিবার পরিজনরা থাকেন উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠার মধ্যে। বর্ষা মৌসুম এলেই নদীর কানায় কানায় ভরে গেলে বেড়ে যায় আরও দুর্গতি। এছাড়াও হঠাৎ কোনো রোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের ওপর। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক সময় বঞ্চিত হয় ক্লাস থেকে। এর আগে সাবেক এমপি মরহুম ডা. ইউনুস আলী সরকার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লবসহ দায়িত্বশীল আরও অনেকে ওই স্থানটি পরিদর্শন করছিলেন। সেখানে তারা ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

একটি ব্রিজের অভাবে যুগযুগ ধরে চলে আসছে এই এলাকার মানুষের ভোগান্তি। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নদীর ওপরে দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। এখানে ব্রিজটি নির্মাণ হলে অল্প সময়ে বিভিন্ন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে।

সরেজমিনে ঘাঘট নদীর ওপরে ওই ভাঙা সাঁকোতে দেখা যায়, হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে। এসময় কেউ মোটরসাইকেল আবার কেউ কেউ বাইসাইকেল ও মালামাল নিয়ে হেঁটে পার হচ্ছিলেন নদের ওপারে।

স্থানীয়রা জানান, ওই স্থানের ইব্রা মন্ডলর ঘাটে প্রায় একদশক আগে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে মানুষ চলাচলা করতো। এসময় নৌকাডুবির ঘটনাসহ মানুষ নানা দুর্ভোগের শিকার হতেন। এরপর স্থানীয়দের আর্থিক ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় কাঠের সাঁকো। এটিও প্রত্যক বছরে পুনসংস্কার করতে হয়। সেখানেও মেলে না সরকারি বরাদ্দ। মাঝে মধ্যে কোনো জনপ্রতিনিধিরা কিছু টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেন। সেটি চাহিদার চেয়ে অপ্রতুল।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নড়বরে ওই কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির সহস্রাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। সময়ের ব্যবধানে উন্নয়নে সমাজ তথা দেশের পরিবর্তন ঘটলেও আজও উন্নয়নে পরিবর্তন হয়নি ইব্রা মন্ডলের ঘাটের এই অবস্থা। দেশ স্বাধীনের ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো সরকারের আমলেই নজরে আসেনি ওইস্থানে ব্রিজ নির্মাণে।

স্থানীয় ব্যক্তি আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, প্রয়োজনীয় কাজে কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয়। এতে করে সময় নষ্টসহ ঝুঁকিতে থাকতে হয় জীবনের ভয়ে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার আবেদন করেও কাজ হয়নি।

দামোদরপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ১ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মিঠু রহমান জানান, ব্রিজটি নির্মাণ হলে লেখাপড়া, ব্যবসা বাণিজ্যসহ কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটবে। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে। তাই ব্রিজটি হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

এ বিষয়ে দামোদরপুর ও রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এবং রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সাদুল্লাপুর উপজেলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব বলেন, ইতোমধ্যে ওই কাঠের সাঁকোটি পরিদর্শন করা হয়েছে। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ খুবই জরুরি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

Related Article
comment
মোঃ মনির হোসেন বকাউল
29-Sep-23 | 10:09

Good news

মোঃ মনির হোসেন বকাউল
10-Dec-23 | 04:12

Good