০৪ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: ইটের আকার তৈরিতে ছোট কারসাজি
নির্মাণ সামগ্রীর অন্যতম উপাদান হলো ইট। ইট ছাড়া রাস্তাঘাট, ইমারতের অবকাঠামো করা দুস্কর। সেই ইটেও চলছে কারসাজি বা ফাঁকিবাজি। ইটের আকার বা সাইজ কারসাজি করে ছোট করা হচ্ছে। তবে তা প্রয়োজনের তাগিদে নয়, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভে ইটের আকার ছোট করা হচ্ছে। এতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঠকছেন ক্রেতা। ইটের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতায় ১ থেকে ৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত কমিয়ে দিচ্ছেন ইটভাটার মালিকরা। ফলে বালু ও সিমেন্টের খরচ বেশি হচ্ছে। এতে নির্মাণ কাজে ব্যয় বাড়ছে। মানা হচ্ছে না জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন।
ওজন ও পরিমাপে কারচুপি রোধে জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ইটের নির্দিষ্ট একটি পরিমাপ রয়েছে। এই পরিমাপ অনুসারে একটি ইটের আকার দৈর্ঘ্যে ২৪ সেন্টিমিটার বা ৯ দশমিক ৪৫ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা ৪ দশমিক ৫৩ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৭ সেন্টিমিটার বা ২ দশমিক ৭৬ ইঞ্চি হওয়ার কথা। যদিও ক্রেতার প্রচলিত ধারণা, একটি ইট দৈর্ঘ্যে ১০ ইঞ্চি, প্রস্থে ৫ ইঞ্চি ও উচ্চতা তিন ইঞ্চি। এখন ওই দশ ইঞ্চি তো দূরের কথা, বিএসটিআই'র পরিমাপ অনুযায়ী ইট তৈরি হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠান পরিমাপ সনদ নিয়েও ছোট ইট তৈরি করছে। এর ফলে দিনের পর দিন ক্রেতা ঠকছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনও কোনো তদারকি করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভাটামালিক বলেন, অঞ্চলভেদে মাটির গুণাগুণের কারণে ইট পুড়ে চুপসে কিছুটা ছোট হয়ে যায়।
আগামীতে এ বিষয়ে বিএসটিআই সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করেন অভিজ্ঞ সচেতন মহল।
Good news
Good