০৭ ডিসেম্বর, ২০২২
ছবি: আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত
গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস বুধবার (৭ ডিসেম্বর)। ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আজকের এই দিনে গাইবান্ধাকে মুক্ত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গাইবান্ধার আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। বিজয়ের আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়ে গাইবান্ধার মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ।
যুদ্ধকালীন গাইবান্ধা স্টেডিয়াম মাঠ ও পাশের একটি বাড়িতে বাঙ্গালিদের ধরে এনে হত্যা করা হত। ২৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা খবর পান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গাইবান্ধা ছেড়েছে। ওইদিন তারা এগিয়ে এসে রসুলপুরে অবস্থান নেন। কিন্তু পরদিন ওই এলাকা ও মোল্লার চরে বোমা বর্ষণ করে হানাদার বাহিনী। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৭১ সালের এদিনে কোম্পানি কমান্ডার মাহবুব এলাহী রঞ্জুর (বীরপ্রতীক) নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফুলছড়ির ফজলুপুর চর থেকে বালাসীঘাট হয়ে গাইবান্ধায় প্রবেশ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের সংবাদ পেয়ে রাতেই গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়ামে অবস্থিত পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা তাদের তল্পিতল্পা গুটিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন এসডিও মাঠে (বর্তমান স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ) সমবেত হন, এখানে মাহবুব এলাহী রঞ্জু গাইবান্ধাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন। গাইবান্ধার যুদ্ধগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হল- বাদিয়াখালীর যুদ্ধ, হরিপুর অপারেশন, কোদালকাটির যুদ্ধ, রসুলপুর স্লইস আক্রমণ, নান্দিনার যুদ্ধ ও কালাসোনার যুদ্ধ।
এর আগে, ৪ ডিসেম্বর মুক্ত হয় গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা থানা। এছাড়া আগামী ৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী থানা, ১০ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ ও ১২ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় গোবিন্দগঞ্জ থানা
Good news
Good